মনের মতো বাড়িতে চাই একটি মন ভোলানো বাগানও। আপনার অনেক দিনের শখ নিজের বাড়িতে নিজের হাতে বাগান করবেন। বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুসারে বসতবাড়িতে গৃহশান্তি, শ্রীবৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে গাছপালা বিরাট ভূমিকা পালন করে! বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে জীবনের মান অনেকটাই উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। বাস্তু অনুসারেও বসতবাড়িতে গাছ লাগানো, ফুল-ফলের বাগান করা অত্যন্ত শুভ। গাছ নেতিবাচক শক্তিকে শান্ত করে এবং ইতিবাচক ফল দেয়। তার মধ্যে নিম গাছে অন্যতম। নিম গাছের (Neem Tree) অনেক ঔষধি ও আয়ুর্বেদিক গুণ রয়েছে। অন্য়দিকে, জ্যোতিষশাস্ত্রেও এর অলৌকিক ক্ষমতার কথা উল্লেখ রয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র (Astrology) অনুসারে নিম পাতার গুরুত্ব অনেক। নিম গাছ মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাস্তুমতে, নিম গাছ সবসময় দক্ষিণ দিকে লাগাতে হয়। রবিবার সকালে সূর্যোদয়ের সময় জল দেওয়া হলে তা শুভ ফল দেয়। বাস্তুমতে বাড়িতে নিমগাছ লাগালে কী কী ফল পেতে পারেন, তা এখানে বিস্তর আলোচনা করা হল…
ধর্মীয় শাস্ত্রে গাছ-গাছালি-সহ প্রকৃতির সকল উপাদানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল নিম গাছ। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের দিক থেকে কার্যকরী, শুধু তাই নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রেও এই গাছটিকে খুব ভাল এবং উপকারী বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে নিম গাছ শনি ও কেতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রসঙ্গত, যেখানে এই দুটি গ্রহের যে কোনও একটি দোষ আপনার ওপর থাকে, সেখানে একটি নিম গাছ লাগিয়ে পুজো করলে উপকার পাওয়া যায়।
নিম কাঠও খুবই শুভ। নিম কাঠ দিয়ে যোজ্ঞ করলে শনিদেবের ক্রোধ কমে যায় বলে মনে করা হয়। তাতে তিনি প্রসন্ন হয়ে মানুষের উপর বিশেষ আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। পাশাপাশি নিমকাঠ দিয়ে পুজো ও যজ্ঞ করলে পরিবেশের নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলির বিনাশ ঘটে।
জলের মধ্যে নিম পাতা মিশিয়ে স্নান করা হলে কেতু সংক্রান্ত দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অন্য়দিকে, নিমের ব্যবহারও শনিকে প্রসন্ন করা যায়। তাতে গৃহে ও মনের শান্তির জন্য ভাল। শনির কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ ও রোগ বিনষ্ট হয়। কথিত আছে নিম গাছ দৈবশক্তির আবাসস্থল। বাড়ির দক্ষিণ বা পশ্চিম কোণে একটি নিম গাছ লাগান। এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এর পাশাপাশি পিতৃপক্ষের আশীর্বাদও পাওয়া যায় এবং পিতৃ দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।