Kitchen Color: পুজোর আগে রান্নাঘরে ভুলেও করবেন না এই সব কাজ, ছারখার হয়ে যাবে সংসার

Vaastu Tips: রান্নাঘরের দেয়াল, মেঝে ও আসবাবের রং বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি। ভুল রং পরিবারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, আবার সঠিক রং ইতিবাচক শক্তি, সুস্থতা ও সমৃদ্ধি আনে। কোন কোন রং রান্নাঘরের জন্য শুভ?

Kitchen Color: পুজোর আগে রান্নাঘরে ভুলেও করবেন না এই সব কাজ, ছারখার হয়ে যাবে সংসার

Aug 31, 2025 | 1:22 PM

বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির রান্নাঘর কেবলমাত্র রান্না করার স্থান নয়, এটি পরিবারের স্বাস্থ্য, সম্পদ ও সুখের উৎস। রান্নাঘরকে ঘরের অগ্নিকোণ ধরা হয়, কারণ এখানে অগ্নিতত্ত্বের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তাই রান্নাঘরের দেয়াল, মেঝে ও আসবাবের রং বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি। ভুল রং পরিবারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, আবার সঠিক রং ইতিবাচক শক্তি, সুস্থতা ও সমৃদ্ধি আনে। কোন কোন রং রান্নাঘরের জন্য শুভ?

কমলা ও হালকা লাল – অগ্নিতত্ত্বের প্রতীক হওয়ায় কমলা ও হালকা লাল রং রান্নাঘরের জন্য খুবই শুভ ধরা হয়। এই রং শক্তি, উদ্যম ও উষ্ণতার প্রতীক। পরিবারের মধ্যে আনন্দ ও খাওয়ার রুচি বাড়ায়। তবে খুব গাঢ় লাল না ব্যবহার করাই ভালো, কারণ এতে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

হলুদ – হলুদ রং সূর্যের প্রতীক, যা ইতিবাচক শক্তি ও সমৃদ্ধি আনে। এটি ঘরে উজ্জ্বলতা বাড়ায়, রান্নাঘরকে প্রাণবন্ত করে তোলে। যারা দীর্ঘ সময় রান্নাঘরে থাকেন, তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

সবুজ – সবুজ প্রকৃতির প্রতীক, যা সতেজতা ও স্বাস্থ্য নির্দেশ করে। রান্নাঘরে সবুজ রং ব্যবহার করলে পরিবারে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং খাবারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। সবুজ চোখের আরাম দেয়, তাই রান্নাঘরে প্রশান্তি বজায় রাখতে সহায়ক।

হালকা বাদামি বা ক্রিম রং – মাটির রঙ পরিবারের স্থিরতা ও নিরাপত্তার প্রতীক। রান্নাঘরে এ ধরনের হালকা টোন ব্যবহার করলে স্থায়িত্ব ও ভারসাম্য আসে। মেঝে বা ক্যাবিনেটে এই রঙ ভালো মানায়।

সাদা – সাদা রঙকে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার প্রতীক বলা হয়। রান্নাঘরে সাদা দেয়াল বা আসবাব মানসিক শান্তি আনে এবং ঘরকে খোলা ও আলোকিত দেখায়। তবে শুধুমাত্র সাদা ব্যবহার না করে হালকা রঙের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উত্তম।

কোন কোন রং রান্নাঘরে এড়িয়ে চলা উচিত?

কালো – কালো রং রান্নাঘরে নেতিবাচক শক্তি সৃষ্টি করে বলে বাস্তুতে মনে করা হয়। এটি অগ্নিতত্ত্বের শক্তি কমিয়ে দেয় এবং পরিবারের মধ্যে অস্থিরতা আনে।

গাঢ় ধূসর – ধূসরকে স্থবিরতা ও বিষণ্ণতার প্রতীক ধরা হয়। রান্নাঘরে এই রঙ ব্যবহার করলে খাবারের প্রতি অনীহা এবং মানসিক ক্লান্তি বাড়তে পারে।

অতিরিক্ত গাঢ় নীল – নীল রং জলের প্রতীক। রান্নাঘরে অগ্নি ও জল একসঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। গাঢ় নীল রঙ রান্নাঘরের অগ্নিশক্তি কমিয়ে দেয়, ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মনে রাখবেন, রান্নাঘরের দেয়াল সবসময় হালকা ও উজ্জ্বল রঙে রাখা ভালো, যাতে আলো প্রতিফলিত হয় ও ঘর প্রাণবন্ত দেখায়। গ্যাসের চারপাশে হালকা লাল বা কমলা রঙ ব্যবহার করলে অগ্নিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ক্যাবিনেট বা তাকের জন্য সবুজ বা হালকা বাদামি রঙ ভালো মানায়। রান্নাঘরে একেবারেই অন্ধকার বা গাঢ় রঙ ব্যবহার করা উচিত নয়, এতে ঘর ভারী ও বিষণ্ণ মনে হয়।

বাস্তুশাস্ত্র মতে, রান্নাঘরের রঙ নির্বাচন পরিবারে শান্তি, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। কমলা, হলুদ, সবুজ, সাদা ও হালকা বাদামি রঙ রান্নাঘরে শুভ প্রভাব আনে এবং ঘরকে প্রাণবন্ত রাখে।