
দেবী দুর্গার আগমনের খুশিতে অনেকেই বাড়ি-ঘর নতুন করে সাজান। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলার সঙ্গেই পাতেন নতুন চাদর। তবে সেক্ষেত্রে কিন্তু কেবল নিজের ইচ্ছা মতো রঙের চাদর পাতলেই হল না। এই সময়ে বিছানায় কোন রঙের চাদর ব্যবহার করছেন, তারও বিশেষ তাৎপর্য আছে। বাস্তুশাস্ত্র মতে সঠিক রঙের চাদর বিছালে বাড়িতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও ইতিবাচক শক্তি আসে। আবার কিছু রং পুজোর সময়ে এড়িয়ে চলাই উত্তম। বিছানায় কোন রঙের চাদর পাতবেন?
কোন রঙের চাদর শুভ?
সাদা চাদর – শুদ্ধতার প্রতীক। সাদা চাদর দেবীকে আহ্বান করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শুভ বলে ধরা হয়। এটি পবিত্রতা, শান্তি ও সততার প্রতীক। সাদা চাদর বিছালে ঘরে দেবীর করুণা বজায় থাকে এবং পরিবেশে প্রশান্তি আসে।
লাল চাদর – শক্তি ও উজ্জ্বলতার প্রতীক। দুর্গা শক্তির দেবী, আর লাল রং তাঁর প্রধান প্রতীক। তাই লাল রঙের চাদর বিছালে দেবীর শক্তির আশীর্বাদ মেলে। পরিবারে উদ্যম, সাহস ও আনন্দের আবহ তৈরি হয়।
হলুদ বা গেরুয়া চাদর – আধ্যাত্মিকতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক। হলুদ রঙ জ্ঞান, সমৃদ্ধি ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। দেবী সরস্বতী ও লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভের জন্য এই রঙ শুভ বলে মনে করা হয়।
সবুজ চাদর – নতুন সূচনার প্রতীক। সবুজ রং প্রকৃতি ও উন্নতির প্রতীক। পুজোর সময়ে সবুজ রঙের চাদর ব্যবহার করলে ঘরে নবজীবন, স্বাস্থ্য এবং শান্তি আসে।
গোলাপি বা কমলা চাদর – ভালোবাসা ও আনন্দের প্রতীক। গোলাপি বা কমলা রঙ ইতিবাচক আবেগ, সুখ এবং উষ্ণতার প্রতীক। পুজোর সময়ে এ রঙের চাদর পরিবারে মিলন, ভালোবাসা এবং আনন্দ ধরে রাখে।
কোন রঙের চাদর এড়িয়ে চলবেন?
কালো রঙ – বাস্তুশাস্ত্র মতে কালো রং নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। পুজোর শুভ দিনে কালো চাদর বিছানো অশুভ বলে ধরা হয়। এটি মানসিক চাপ, বিভ্রান্তি এবং অশান্তি ডেকে আনে।
ধূসর বা গাঢ় বাদামি রঙ – এই রঙগুলোকে নির্জীব ও অশুভ ধরা হয়। এগুলো ইতিবাচক পরিবেশ নষ্ট করে এবং পরিবারের আনন্দকে কমিয়ে দেয়। তাই দুর্গাপুজোর সময়ে এই রঙ ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
অতিরিক্ত গাঢ় রঙ – এই রঙের চাদর ঘরকে ভারী ও বিষণ্ণ করে তোলে। পুজোর আনন্দমুখর পরিবেশের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।