Ravana Updesh: রাম নয়, মৃত্যুকালে রাবণ বলে গিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে দামি কথা! জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

May 20, 2023 | 6:30 AM

Hinduism: জৈন শাস্ত্রে রাবণকে প্রতি-নারায়ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই কারণেই রাবণের নামও জৈন ধর্মের ৬৪ শলাক পুরুষের অন্তর্ভুক্ত। রাবণ ব্রহ্মা বহু বিষয়ে জ্ঞানী ও জ্ঞানী ছিলেন। তিনি বহু প্রকার তন্ত্র, সম্মোহন, ইন্দ্রজাল ও জাদুবিদ্যা জানতেন।

Ravana Updesh: রাম নয়, মৃত্যুকালে রাবণ বলে গিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে দামি কথা! জানেন?

Follow Us

রামায়ণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় চরিত্র হল লঙ্কারাজ রাবণ। রাজা হলেও রাবণ রাক্ষস বংশের রাজা ছিলেন। লঙ্কাধিপতি দশানন মহারাজ রাবণ ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী, পরাক্রমশালী যোদ্ধা, পরম শিবভক্ত, বেদ জ্ঞানী এবং মহান পণ্ডিত। তবে রাম-লক্ষণকে শিক্ষা দিতে রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন। অন্যদিকে সীতাকে হরণ করা নিয়ে উচিত শিক্ষা দিতে রাবণকে বধ করেন রাম। অনেকেই জানেন না যে রাবণ ছিলেন অর্ধব্রাহ্মণ। আবার অর্ধ অসুর। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্বশ্রব, পুলস্ত্য বংশের ঋষি। মাতা ছিলেন কৈকাসি। এছাড়া রাবণের আসল নাম ছিল দাসগ্রীব। তার অর্থ হল দশটি মাথা। হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি রাবণের জায়গা রয়েছে অন্যান্য শাস্ত্রে ও ধর্মে।

রাবণের বৈশিষ্ট্য

জৈন শাস্ত্রে রাবণকে প্রতি-নারায়ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই কারণেই রাবণের নামও জৈন ধর্মের ৬৪ শলাক পুরুষের অন্তর্ভুক্ত। রাবণ ব্রহ্মা বহু বিষয়ে জ্ঞানী ও জ্ঞানী ছিলেন। তিনি বহু প্রকার তন্ত্র, সম্মোহন, ইন্দ্রজাল ও জাদুবিদ্যা জানতেন। রাবণেরও এমন একটি বিমান ছিল, যা অন্য কারও কাছে ছিল না। মৃত্যুশয্যায় রাবণকে দেখিয়ে রাম লক্ষণকে রাবণের কাছ থেকে রাজনীতি ও ক্ষমতার জ্ঞান পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

রাম কেন লক্ষ্মণকে রাবণের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলেছিলেন?

রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ হলে রাবণ পরাজিত হয়। রামের বধে রাবণ তখন মৃতপ্রায় অবস্থায়। সেই সময় রাবণ ভগবান রামকে লক্ষ্মণকে শিক্ষা দিতে বলেন। কারণ রামও জানতেন যে রাবণ এই জগতের নীতি, রাজনীতি ও ক্ষমতার বড় পণ্ডিত। তাই রাম লক্ষ্মণকে বলেছিলেন যে আপনি রাবণের কাছে যান ও তাঁর কাছ থেকে জীবন সম্পর্কিত এমন শিক্ষা গ্রহণ করুন যা আপনাকে অন্য কেউ দিতে পারবে না। ভগবান রামের কথা শুনে লক্ষ্মণ গিয়ে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা রাবণের মাথার কাছে গিয়ে দাঁড়ান।

কিন্তু লক্ষ্মণ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও রাবণ কিছু বললেন না। লক্ষ্মণ রামের কাছে ফিরে এসে বললেন, প্রভু! আমি রাবণের কাছে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম, কিন্তু তিনি কি্ছু বললেন না। তখন ভগবান রাম বললেন, কারওর কাছ থেকে জ্ঞান পেতে হলে মাথার কাছে নয়, পায়ের কাছে দাঁড়াতে হবে। এরপর লক্ষ্মণ আবার রাবণের পায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন ও মৃত্যুর আগে রাবণ লক্ষ্মণকে যা বলেছিলেন, তা আজও সবাই জানেন।

মৃত্যুর আগে রাবণ কী বলেছিলেন?

রাবণ লক্ষ্মণকে.লেছিলেন যে কোনও শুভ বা শুভ কাজে বিলম্ব করা উচিত নয়। অন্যদিকে, অশুভ কাজের প্রতি আকর্ষণকে যতটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তা পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে।

নিজের শক্তি ও বীরত্বে এতটা গর্বিত হওয়া বা এমন অন্ধ হওয়া উচিত নয় যে শত্রুকে তুচ্ছ মনে হতে শুরু করে। ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে বর পেয়েছিলাম যে মানুষ ও বানর ছাড়া কেউ আমাকে হত্যা করতে পারবে না।

কিন্তু তা সত্বেও আমি এগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলাম ও এটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল। যার কারণে আজ আমি মৃত্যুপ্রান্তে শুয়ে আছি।

রাবণের তৃতীয় উপদেশ ছিল, শত্রু ও বন্ধুর মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হবে। অনেক সময় আমরা শত্রুকে আমাদের বন্ধু মনে করি, যারা পরবর্তীকালে আমাদের শত্রু হিসেবেই সামনে আসে। অন্যদিকে, আমরা যাদের শত্রু ভেবে বিচ্ছিন্ন করি, তারাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।

লক্ষ্মণকে জ্ঞান দিয়ে রাবণ বলেছিলেন যে তার জীবনের গভীর রহস্য সম্পর্কে কাউকে বলা উচিত নয়। তাহলে সে আপনার যতই কাছের হোক না কেন। কারণ লঙ্কায় থাকাকালীন বিভীষণ আমার শুভাকাঙ্খী ছিলেন এবং রামের আশ্রয়ে গেলে তিনি আমার সর্বনাশের কারণ হয়েছিলেন।

রাবণের শেষ উপদেশ ছিল, অন্য কোনো নারীর প্রতি কোনো খারাপ দৃষ্টি রাখা চলবে না। কারণ যে ব্যক্তি অপরিচিত নারীর প্রতি কুদৃষ্টি রাখে সে ধ্বংস হয়ে যায়।

Next Article