Guru Nanak Jayanti: গুরু নানক জয়ন্তী কবে? জানুন গুরু নানককে নিয়ে একগুচ্ছ অজানা তথ্য

Gurpurab 2025: গুরু নানকের ৫৫৬তম জন্মজয়ন্তী আগামিকাল ৫ নভেম্বর। প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় গুরুপরব বা গুরু নানক জয়ন্তী। যা সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে পড়ে।

Guru Nanak Jayanti: গুরু নানক জয়ন্তী কবে? জানুন গুরু নানককে নিয়ে একগুচ্ছ অজানা তথ্য
গুরু নানক জয়ন্তী কবে? জানুন গুরু নানককে নিয়ে একগুচ্ছ অজানা তথ্যImage Credit source: Pinterest

Nov 04, 2025 | 4:04 PM

গুরু নানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti) বা গুরুপরব শিখ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র উৎসব। শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম গুরু শ্রী গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এটি ‘প্রকাশ পর্ব’ নামেও পরিচিত। প্রতি বছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় গুরুপরব বা গুরু নানক জয়ন্তী। যা সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে পড়ে।

গুরু নানক দেব জি-র ১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান পাকিস্তানের তালওয়ান্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যা এখন নানকানা সাহেব নামে পরিচিত। গুরু নানক জয়ন্তী দিনটি গুরু নানকের জীবন, শিক্ষা এবং মানবজাতির প্রতি তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পালিত হয়। তিনি সমতা, মানবতা, নিঃস্বার্থ সেবা এবং ‘এক ওমকার’ (ঈশ্বর এক) এই বিশ্বজনীন বার্তা প্রচার করেছিলেন। গুরুপরবের উৎসব সাধারণত পূর্ণিমার দু’দিন আগে থেকে শুরু হয় এবং বিপুল উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়।

অখণ্ড পাঠ: উৎসবের দু’দিন আগে থেকে গুরুদ্বারগুলিতে পবিত্র ‘গুরু গ্রন্থ সাহেব জি’-এর ৪৮ ঘণ্টা ধরে অবিরাম পাঠ করা হয়, যাকে অখণ্ড পাঠ বলা হয়।

নগর কীর্তন: পূর্ণিমার আগের দিন ‘নগর কীর্তন’ নামে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এই শোভাযাত্রার নেতৃত্বে থাকে ‘পঞ্চ পেয়ারা’ (পাঁচজন প্রিয় ভক্ত), এবং শোভাযাত্রায় ভক্তরা ভজন-কীর্তন করতে করতে গুরু নানক দেব জির বাণী ও শিক্ষা প্রচার করেন।

গুরুপরবের দিনে গুরুদ্বারগুলিকে ফুল, আলো এবং পতাকা দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো হয়। গুরুপরবের মূল দিনে ভোরে ‘অমৃত বেলা’ থেকে উৎসব শুরু হয়। গুরুদ্বারগুলিতে বিশেষ কীর্তন, ধর্মোপদেশ ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে গুরু নানকের জীবন ও শিক্ষা স্মরণ করা হয়। এদিন লঙ্গর রাখা হয়। যা হল গুরুপরবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য গুরুদ্বারে নিঃস্বার্থ সেবার মানসিকতা নিয়ে নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়। গুরু নানক জয়ন্তী কেবল শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছেই নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তি, ঐক্য ও ভালোবাসার বার্তা বয়ে আনে।