হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলি উৎসব পালিত হয়। সাধারণত ২দিন ধরে চলে এই রঙিন উত্সব। প্রথম দিনে ন্যাড়াপোড়া, যাকে ছোটি হোলিও বলা হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনে পালিত হল রঙিন আবির ও রঙের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে ওঠে। ২ দিনের এই উত্সব অত্য়ন্ত ধুমধাম করে পালিত হয় সারা দেশে। দোলের দিন আবির নিয়েও খেলা হয়। এদিন অন্তরের শত্রুতাকে ভুলে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার রীতি। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনটি হিরণ্যকশ্যপের বোন হোলিকার দহন দিয়ে শুরু হয়েছিল, যার কারণে হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া বলা হয়। পরের দিন রঙিন আবির ও রঙ দিয়ে হোলি বা খেলা হয়েছিল। এ বছর কোন দিন হোলিকা দহন হবে ও কোন দিন হোলি বা দোল খেলা হবে, তা জেনে নিন।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এ বছর হোলিকা দহন পালিত হবে ৭ মার্চ। অন্যদিকে দোল বা হোলি পালিত হবে তার পরের দিন, ৮ মার্চ। এ বছর, হোলিকা দহন বা ছোট হোলির শুভ মুহূর্ত ৭ মার্চ, সন্ধ্যে ৬টা ৩১ মিনিট থেকে ৮টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত। এই শুভ সময়ে হোলিকা পোড়ানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
হোলিকা দহনের কাহিনি
হোলির আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে হোলিকা দহনের গল্প শুনে আসছি। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, প্রাচীনকালে এক রাজা বাস করতেন যার নাম ছিল হিরণ্যকশ্যপ। হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর প্রবল ভক্ত। হিরণ্যকশ্যপ কখনওই পছন্দ করেননি যে তাঁর পুত্র ভগবান বিষ্ণুর পূজায় মগ্ন থাকুক। এর কারণে তিনি তার পুত্রকে হত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন। একবার হিরণ্যকশ্যপ তার বোন হোলিকাকে প্রহ্লাদের সঙ্গে আগুনে বসার নির্দেশ দেন। কিংবদন্তী অনুসারে, হোলিকার আগুনে না পোড়ানোর বর ছিল, কিন্তু ভগবান বিষ্ণুর ক্রোধের কারণে হোলিকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অন্য়দিকে প্রহ্লাদ রক্ষা পান। তারপর থেকে হোলিকা দহন প্রচলিত হয় ও প্রতি বছর হোলিকা দহন শুরু হয়।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)