
সংসারে যখনই বাড়বাড়ন্ত হয়েছে অধর্মের, পূরণ হয়েছে পাপের ঘড়া, তখনই ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অবতার রূপে এই ধরাধামে জন্ম নিয়েছেন স্বয়ং পালনকর্তা বিষ্ণু। তেমনই ত্রেতা যুগে অযোধ্যায় সূর্যবংশীয় রাজা দশরথ এবং রানী কৌশল্যার পুত্র রূপে, পবিত্র চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে শ্রীরামচন্দ্র অধর্মের বিনাশ এবং ধর্ম স্থাপনের উদ্দেশ্যে ধরাধামে অবতীর্ণ হন। তাই চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র রামনবমী হিসাবে খ্যাত। ওই দিন গোটা ভারতে পালিত হয় রামনবমী। এই বছর কবে পড়েছে রামনবমী? শুভ সময় কখন?
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে –
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে নবমী তিথি আরম্ভ ২২ চৈত্র। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ৫ এপ্রিল, শনিবার। রাত ৭টা ২৮ মিনিট।
নবমী তিথি শেষ হচ্ছে, ২৩ চৈত্র। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ৬ এপ্রিল, রবিবার। রাত ৭টা ২৪ মিনিটে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে –
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে নবমী তিথি আরম্ভ হচ্ছে ২২ চৈত্র। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ৫ এপ্রিল, শনিবার। রাত ১২টা ২১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে।
নবমী তিথি শেষ হচ্ছে ২৩ চৈত্র। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ৬ এপ্রিল, রবিবার। রাত ১১টা ৩১ মিনিট ৪ সেকেন্ডে।
পুজো করার শুভ সময় –
২৪ চৈত্র, ৭ এপ্রিল, সোমবার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী রামনবমী ব্রত পালন করতে পারেন। ৬ এপ্রিল সকাল ১১:০৮ টা থেকে দুপুর ১:৩৯ টা পর্যন্ত।
ব্রহ্ম মুহুর্ত – ভোর ৪:৩৪ থেকে ভোর ৫:২০।
বিজয় মুহুর্ত – দুপুর ২:৩০ থেকে ৩:২০।
গোধূলি সময় – সন্ধ্যা ৬:৪১ থেকে সন্ধ্যা ৭:০৩।
নিশিথ মুহুর্ত – রাত ১২ টা থেকে ১২:৪৬।
রামনবমীর দিনে, ভক্তরা ব্রত পালন করেন, রামায়ণ পাঠ করেন, ভজন ও কীর্তনের আয়োজন করেন এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ভগবান শ্রী রামকে মর্যাদা পুরুষোত্তম বলা হয় কারণ তিনি সারা জীবন ধর্ম, সত্য এবং কর্তব্য পালন করেছিলেন। রামনবমীর উৎসব আমাদের তাঁর আদর্শ গ্রহণ করতে এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে।
রামনবমী বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করার এবং সমাজে ভালোবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রচারের সুযোগ করে দেয়। এই দিনে, বিভিন্ন জায়গায় ট্যাবলো এবং শোভাযাত্রা বের করা হয়।