
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৫ জুন থেকে শুরু আষাঢ় মাস। কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে, চতুর্থ মাস শুরু হবে আষাঢ়। কথিত আছে, ভগবান শ্রী হরি আষাঢ় মাসের দেবশয়নী একাদশী থেকে ৪ মাস যোগনিদ্রায় যান। তবে হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ৫ জুন থেকে শুরু হবে আষাঢ় মাস। হিন্দু ধর্মে প্রতি মাসকেই নিজস্ব গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলা মাস হিসেবে আষাঢ় মাসেরও নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এই মাস ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা হয়। ভগবান শ্রী হরিকে উৎসর্গ করা এই মাসে পূজাপাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, আষাঢ় মাসে নারায়ণ ও মহাদেবের বিশেষ ভাবে পূজার্চনা করা হয়।
আষাঢ় মাসে জগন্নাথ পুরী রথযাত্রা, দেবশয়নী একাদশী, গুপ্ত নবরাত্রি, গুরু পূর্ণিমাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব পালিত হয়। যদিও এই মাসটি ভক্তদের জন্য খুব শুভ বলে মনে করা হয়। তবুও এই সময়ে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। আর এই মাসেই পালিত হয় দেবশায়নী একাদশী। আষাঢ় মাসে দেবশয়নী একাদশী থেকে ৪ মাস শয়ন করেন বলে কী কী করবেন, জেনে নিন একনজরে…
– আষাঢ় মাসে একাদশীর পর বিয়ে, পৈতে, অন্নপ্রাশন, গৃহপ্রবেশের মতো শুভ কাজ করা শুভ বলে মনে করা হয় না। কথিত আছে, এই সময়ে বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না।
– আষাঢ় মাসে একাদশীর পরে নতুন বাড়িতে প্রবেশ বা গৃহপ্রবেশ করাও অশুভ। সঠিক সময়ে ঘরে প্রবেশ না করলে সুখ-সমৃদ্ধি কমে যায়। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, মহাবিশ্বের রক্ষক ভগবান বিষ্ণুর ঘুমের সময়।
– হিন্দু ধর্মে মুণ্ডন রীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আষাঢ় মাসে এমন শুভ কাজ করলে অশুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। তাই এই মাসে শিশুর মাথার চুল কাটা বা ন্যাড়া করা উচিত নয়।
– আষাঢ় মাসে অর্থাৎ চতুর্থমাসে নামকরণ অনুষ্ঠান, অন্নপ্রাশনের মতো অত্যন্ত শুভকাজ পালন করা হয় না। এ মাসে এই ধরনের শুভ কাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
– বিশ্বাস করা হয় যে দেবতা ঘুমানোর পরে, শুভ শক্তিগুলি দুর্বল হতে শুরু করে। আষাঢ় মাস থেকে পরবর্তী চার মাস পর্যন্ত নেতিবাচক শক্তি অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুভ কাজ করা নিষেধ।