
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাস শেষ হতে চলেছে ৩১ অগস্ট। তাঁর সমগ্র পরিবার-সহ মহাদেবের উপাসনা করলে বিশেষভাবে উপকার পেতে পারেন ভক্তরা। শাস্ত্র অনুসারে, এই পবিত্র মাসে ভগবান শিব তাঁর পরিবার সহ মর্ত্যে ভ্রমণ করতে আসেন। এই সময় মহাদেব ভক্তদের প্রার্থনা শুনে আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। শ্রাবণ মাসের সোমবার ভগবান শিবের পাশাপাশি মঙ্গলা গৌরী ব্রত দেবী পার্বতীকে ও শ্রাবণ বিনায়ক চতুর্থী গণপতিকে উৎসর্গ করা হয়। এছাড়াও, স্কন্দ ষষ্ঠীর দিন,শিবের পুত্র কার্তিকের পুজো করা হয়।
পুরাণ অনুযায়ী, মহাদেবের মাত্র দুই পুত্র ও ২ কন্যার নাম ও পরিচয় উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেন নান শিবের মোট পাঁচটি কন্যা। লক্ষ্মী ও সরস্বতী ছাড়া আরও তিনজনের নাম ও পরিচয় জানেন না খোদ দেবী পার্বতীও। মহাদেব আসলে পাঁচকন্যা সন্তানের পিতা। ভোলেবাবার পাঁচকন্যার নাম ও পরিচয় জানা আছে?
কিংবদন্তি অনুসারে, একবার মহাদেব ও পার্বতী হ্রদে জলক্রীড়ায় মত্ত ছিলেন। সেই সময় মহাদেবের বীর্যপাত হলে সেই বীর্য একটি পাতায় রেখে দেন। সেই বীর্য থেকেই পাঁচ কন্যার জন্ম হয়। এই পাঁচ মেয়ে মানুষ হয়ে নয়, সাপ হয়ে জন্মায়। তাদের নাম জয়া, বিষহার, শামিলবাড়ি, দেব ও দোতালি।
শিবের পাঁচ কন্যার খবর দেবী পার্বতীর কাছেও ছিল না। পার্বতী-মহাদেবের চার সন্তানের মতোই এই সর্পকন্যাদের উপর ছিল সমান স্নেহ-ভালোবাসা। প্রতিদিন তিনি ব্রহ্ম মুহূর্তে সেই হ্রদে গিয়ে ওই পাঁচ সর্পকন্যাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তাঁদের সঙ্গে খেলা করতেন। এই দৃশ্য প্রায়ই দেখতে পেতেন পার্বতী। তাঁর মনে সন্দেহ হয়। প্রতিদিন মহাদেব তাঁকে কিছু না বলে সকালে কোথায় যান, তা জানার কৌতূহল জন্মায়। সন্দেহের বশে একদিন শিবকে অনুসরণ করে হ্রদে পৌঁছে যান। সেখানে ভোলেনাথকে বাবার মতো সর্পকন্যাদের প্রতি স্নেহ দেখে দেবী পার্বতী প্রচণ্ড রেগে যান।
সন্দেহ ও রাগে ওই সর্পকন্যাকে হত্যা করতে উদ্যত হন তিনি। তাঁদের হত্যা করার জন্য পা বাড়াবেন, তখনই মহাদেব তাঁর পথ আটকান। সেইসময় পার্বতীর রাগ ও সন্দেহ দূর করতে ভোলেবাবা সর্পকন্যাদের জন্ম কাহিনি বলেন। ভোলেনাথ বলেন,শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই সর্পকন্যাদের পুজো করা হবে। এই দিন এই সর্পকন্যাদের পুজো করা হলে সাপের কামড়ের আতঙ্ক কখনও তাড়া করবে না। ঘরে অন্ন ও অর্থ মজুত থাকবে সর্বদা।