কালী পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা পৌরাণীক কাহিনী। হিন্দু ধর্ম অবলম্বনকারীদের কাছে এই ধর্মের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ধনতেরাস বা ধন ত্রয়োদশী বলে পরিচিত এই দিনটিতে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য সোনা-রুপো, ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। শাস্ত্র মতে এই দিন পূজিত হন দেবী ধনলক্ষ্মী ও ঐশ্বর্যের দেবতা কুবের। কিন্তু কেন ধন ত্রয়োদশীতে পূজিত হন তিনি? কি বলছে পুরাণ?
কথিত রাজা হিমের ষোল বছর বয়সী পুত্রের জীবনে একটি অভিশাপ ছিল। বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তাঁর অকালমৃত্যু হবে। তাই বিয়ের পরে ওই চতুর্থ রাতে নববধূ স্বামীকে ঘুমোতে দেননি। নানা রকম কৌশলে তাঁকে জাগিয়ে রাখেন। শোওয়ার ঘরের বাইরে প্রচুর ধন সম্পদ, সোনা-রুপোর গয়না, বাসন সাজিয়ে রাখেন তিনি। ঘরেও সব জায়াগায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন। যাতে সাপ কোনও ভাবেই তাঁদের ঘরে ঢুকতে না পারে। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সারারাত গল্প আর গানও শোনান তিনি। মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর স্বামীকে নিয়ে যেতে আসেন, ঘরের দরজায় অত গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোওয়ার ঘর পর্যন্ত না গিয়ে ওই গয়নার উপর শুয়ে রানির গান আর গল্প শুনতে শুনতে বিভোর হয়ে পড়েন যম। পরে দিকভ্রান্ত হয়ে নিজের আস্তানায় ফিরে যান যমদেব। রক্ষা পান রাজকুমার। এই ঘটনার পরের দিন সেই আনন্দে সোনা-রুপো এবং আরও বিভিন্ন ধাতু কিনে উৎসব পালন করা শুরু হয় রাজপরিবারে। সেই থেকেই শুরু ধনতেরাস উৎসবের।