
মন্দির বা বাড়ি, যেখানেই পুজো হোক না কেন, অনেক দূর থেকে ধূপ-ধুনোর গন্ধ পাওয়া যায়। পুজোর ধূপ-ধুনোর গন্ধই আলাদা। মন শান্ত করার গন্ধ। হিন্দুধর্মমতে, পুজোর সময় ধূপ জ্বালালে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি সুগন্ধি ধূপকাঠিও ভগবানকে সন্তুষ্ট রাখতে সাহায্য করে। হিন্দু ধর্মে, প্রতিদিন বাড়িতে পুজো করার সময়ভগবানকে তুষ্ট করতে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালানো নিয়ম। ফুল, হলুদ, জল নিবেদনের পাশপাশি ধূপকাঠিও নিবেদন করা হয়। মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময়ও মোমবাতি, ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেওযার রীতি রয়েছে। প্রথা অনুযায়ী, ধূপকাঠির প্যাকেট যদি নিয়ে যান, তাহলে সবকটি কাঠিই জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু জানেন কি পুজোর সময় কেন ধূপকাঠি জ্বালানো হয়? ধর্মমতে বিশ্বাস করা হয়,পুজোর আগে ধূপকাঠি জ্বালালে ঈশ্বর তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ বর্ষণ করে থাকেন। ঘরের পরিবেশে পজিটিভ শক্তির প্রবাহ বজায় থাকে। পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালালে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা জানুন
– জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালালে ইতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে, তাতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
– বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পূজার সময় প্রতিদিন ধূপকাঠি জ্বালালে বাস্তু দোষ দূর হয় ও ঘরে সমৃদ্ধি বয়ে আসে।
– বাড়িতে নিয়মিত পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস হয়। ফলে পরিবারের সকলেই সুস্থ থাকেনষ মানসিক চাপও কম হয়।
– প্রতিদিন পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালিয়ে রাখলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। ধূপকাঠিকে সুখ-সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। এর জেরে ঘরে কখনও অর্থ ও শস্যের অভাব হয় না।
– রোজ ঘরে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। তাতে ঘরের পরিবেশে উন্নতি ঘটে, মনকে শান্ত রাখে। কাজে সাফল্য আসে হু হু করে।
ধূপকাঠি জ্বালানোরর নিয়ম
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ধূপকাঠি জ্বালানোর কিছু নিয়ম জানা খুবই জরুরি। শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, রবিবার ও মঙ্গলবার ধূপকাঠি জ্বালানো উচিত নয়। এর কারণ হল বাঁশ থেকে ধূপকাঠি তৈরি করা হয়, এই দিনগুলিতে বাঁশ পোড়ানো শুভ নয়। ঘরে দারিদ্র্য নেমে আসে,পরিবারের সদস্যদের মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়।