
হিন্দু ধর্মে ১৮টি মহাপুরাণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হল গরুড় পুরাণ। মানুষের জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কিত এমন রহস্যগুলি আবৃত করা হয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে মানুষ জানতে আগ্রহী। সনাতন ধর্মে, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে, তার বাড়িতে ১৩ দিন ধরে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়। গরুড় পুরাণ গ্রন্থে প্রধানত হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর লীলা বর্ণনা করা হলেও এটিতে সকল দেবদেবীরই মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়েছে। গরুড়পুরাণ হল একটি বৈষ্ণব পুরাণ। প্রচলিত মতানুযায়ী, এই পুরাণের শ্লোকসংখ্যা ১৯,০০০। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, মৃত্যুর পর যে আত্মার মৃত্যু হয়, সে ওই গৃহেই ১৩দিন অবস্থান করে। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, গরুড় পুরাণ পাঠ করলে সেই আত্মা শান্তি পায়। তাই হিন্দুমতে, কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর গরুড় পুরাণ কেন পাঠ করা হয় তাও গরুড় পুরাণে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মৃত্যুর পর কেন গরুড় পুরাণ পড়া হয়?
সনাতন ধর্মে গরুড় পুরাণকে বিশেষ গুরুত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাড়ির কারও মৃত্যুর পর ১৩ দিন ধরে একটানা পাঠ করা হয় এই গ্রন্থ। বিশ্বাস করা হয় যে, ব্যক্তির মৃত্যু হয় তার আত্মা ১৩ দিন তার বাড়িতেই থাকে। এই সময়ে গরুড় পুরাণ পাঠ করলে তিনি জাগতিক আসক্তি থেকে মুক্তি পান। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে কীভাবে মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গ ও নরকে স্থান পায়। এই পুরাণ অনুযায়ী, মানুষ ও আত্মার উন্নতি, অধঃপতন সবকিছুই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
গরুড় পুরাণে বিশেষ রহস্য
পাশাপাশি, গরুড় পুরাণে এমন তথ্যও দেওয়া হয়েছে যে দেহ ত্যাগ করার পর মৃত ব্যক্তির আত্মাকে কীভাবে পরবর্তী যাত্রার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ বিশ্বে সে তার কর্ম অনুযায়ী স্বর্গ বা নরকে স্থান পাবে। এছাড়া, কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পরে, ১৩ দিন বাড়িতে গরুড় পুরাণও পাঠ করা হয় যাতে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা ভাল কাজ ও মোক্ষ সম্পর্কে তথ্য পান।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)