Chess: দিব্যেন্দু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ অতনু লাহিড়ীর

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 10, 2024 | 1:46 PM

জাতীয় দাবা সংস্থার প্রাক্তন যুগ্ম সভাপতি অতনু লাহিড়ী অভিযোগ তুলেছেন অল ইন্ডিয়া চেজ ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে। অতনুর অভিযোগ, নিজের পদের সুবিধা নিয়েছেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া।

Chess: দিব্যেন্দু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ অতনু লাহিড়ীর
Chess: দিব্যেন্দু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ অতনু লাহিড়ীর

Follow Us

কলকাতা: বুদাপেস্টের হাঙ্গেরিতে কয়েকদিন আগে দাবা অলিম্পিয়াডে ইতিহাস গড়েছে ভারত। দেশের পুরুষ ও মহিলা দুই টিমই ওই টুর্নামেন্টে সোনা জিতেছিল। ওই দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতীয় দলের প্রধান হিসেবে গিয়েছিলেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া (Dibyendu Barua)। তিনি অল ইন্ডিয়া চেজ ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে AICF-এর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যা শুনে কী বলছেন বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার?

জাতীয় দাবা সংস্থার প্রাক্তন যুগ্ম সভাপতি অতনু লাহিড়ী অভিযোগ তুলেছেন অল ইন্ডিয়া চেজ ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে। অতনুর অভিযোগ, নিজের পদের সুবিধা নিয়েছেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া। নিজেই নিজেকে দাবা অলিম্পিয়াডে হেড অব ডেলিগেট হিসেবে দিব্যেন্দু নিযুক্ত করেছিলেন। এরপর ভারতীয় দল দাবা অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নিজেই নিজেকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কৃত করেছেন বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার। বুদাপেস্টে সরকারের টাকায় পরিবার নিয়ে ভ্রমণের অভিযোগও উঠেছে দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে।

সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন দিব্যেন্দু বড়ুয়া। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বেঙ্গল চেস ফেডারেশনের যুগ্ম সচিব অভিজিৎ মণ্ডল। এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে AICF-কে চিঠি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের। দিব্যেন্দু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসার পর চুপ থাকেননি তিনি। বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেহেতু অতনুর বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, তাই এখন তিনি প্রচারের আলোয় আসতেই অবান্তর কথা বলছেন।’

দাবা অলিম্পিয়াড শুরু হওয়ার ২ দিন পর হাঙ্গেরিতে পৌঁছেছিলেন দিব্যেন্দু। সেখানে ভারতীয় টিমের প্রধান হিসেবে দিব্যেন্দু নিজের যাওয়া নিয়ে দিব্যেন্দু বলেন, ‘ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি ও সাধারণ সদস্যদের বৈঠকেই আমাকে ভারতীয় দলের প্রধান হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।’ এ ছাড়া ভারতের পুরুষ ও মহিলা টিম সোনা জেতার পর নিজেই নিজেকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কৃত করা প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু বলেন, ‘স্পনসরশিপ থেকে ভারতীয় দাবা ফেডারেশন ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেই টাকা খেলোয়াড় আর ডেলিগেশনদের পুরস্কার দিয়েছে এআইসিএফ। এখানে আমার কোনও হাত নেই। এই পুরস্কার ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এআইসিএফ প্রেসিডেন্ট।’

Next Article