কলকাতা: সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR)। চোটের কারণে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারকে পাওয়া যাচ্ছে না আইপিএলে (IPL 2023)। অস্ত্রোপচার না করিয়ে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব শুরু করেছেন। কিন্তু কবে তিনি ফিরবেন বেগুনি জার্সিতে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয়। জাতীয় টিমের খেলা থাকায় ডেথ বোলার লকি ফার্গুসনকেও পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েক ম্যাচ পর হয়তো টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। তারই মধ্যে আবার সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) নিজেকে সরিয়ে নিলেন কেকেআর থেকে। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার জাতীয় টিমের খেলা ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিরাট কোহলি-ফাফ দু প্লেসির আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে ইডেনে। প্রথম ম্যাচ পঞ্জাবের কাছে হারের ফলে কিছুটা হলেও চাপে টিম। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে জয়ের খোঁজে নামবে নীতীশ রানার টিম। তার আগে টিমে অভিজ্ঞ প্লেয়ার না-থাকা খানিকটা হলেও চিন্তায় ফেলে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে এই মুহূর্তে সাকিবের পরিবর্ত খুঁজতে নেমে পড়েছে কেকেআর। কে হতে পারেন তাঁর বিকল্প? বিস্তারিত TV9 Bangla–য়।
এখন তিন জনের নাম ঘুরছে কেকেআর শিবিরে। যাঁরা ঠিকঠাক বিকল্প হতে পারেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিবের। তিন জনের মধ্যে কাকে নিতে পারে কেকেআর? ওই তিন জন হলেন-
রিলি মেরেডিথ: অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি পেসার রয়েছেন আলোচনায়। আইপিএলে বিভিন্ন টিমের হয়ে খেলেছেন। ফলে অভিজ্ঞতা কম নেই। পরিবেশ, পরিস্থিতি সবই জানেন। তবে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ আইপিএলে তাঁর হয়নি। ফলে নিজের প্রতিভা দেখানোর পূর্ণাঙ্গ সুযোগ মেলেনি। তবে বিগ ব্যাশ লিগে হোবার্ট হ্যারিকেন্সের হয়ে বরাবরই ধারাবাহিক পারফর্ম করেন মেরেডিথ। দুরন্ত গতির পাশাপাশি ডেথ বোলিং স্পেশালিস্ট তিনি। আইপিএলে ভালো পারফর্ম করতে হলে ভালো ডেথ বোলার দরকার কেকেআরের। তা খুব ভালো করেই জানে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই কারণেই নাইটদের নির্ভরতা দিতে পারেন মেরেডিথ।
দাসুন শানাকা: শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন হয়তো তেমন ভালো ডেথ বোলার নন, কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন শানাকা। কেকেআর সমর্থকরাও শানাকাকে টিমে দেখতে চেয়েছিলেন। আন্দ্রে রাসেলের ব্যাকআপ হতে পারেন তিনি। অলরাউন্ডার শানাকাকে নিলে ব্যাটিং গভীরতা যেমন বাড়বে, বোলিংও ধারালো হবে। সেই কারণেই শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেনকে নেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে কেকেআরে।
ল্যান্স মরিস: গতিতে ভরপুর অস্ট্রেলিয়ার উঠতি পেসার তিনি। ১৫০ কিমি গতিতে নিয়মিত বোলিং করেন। অস্ট্রেলিয়া টিমের অংশ যেমন, তেমনই ভারত সফরে টিমের সঙ্গেই এসেছিলেন। তবে জাতীয় টিমের হয়ে অভিষেক হয়নি তাঁর। কেকেআরের বোলিং ইউনিটে বৈচিত্র আনতে পারেন মরিস। যে কারণে তাঁর নামও রয়েছে আলোচনায়।