Vivian Richards-Neena Gupta: ভিভ-নীনার সেই প্রেমকাহিনি আজও অমর
Love Story: সব প্রেমকাহিনির তো হ্যাপি এন্ডিং হয় না... যেমনটা হয়নি ভিভ-নীনার ক্ষেত্রে।
কলকাতা: আটের দশকের প্রেমকাহিনির মধ্যে বহুচর্চিত হল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডস (Vivian Richards) ও বলিউড অভিনেত্রী নীনা গুপ্তার (Neena Gupta) অসমাপ্ত প্রেমকাহিনি। সব প্রেমকাহিনির তো হ্যাপি এন্ডিং হয় না… যেমনটা হয়নি ভিভ-নীনার ক্ষেত্রে। আটের দশকে ভিভ-নীনার প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল ফিল্ম এবং ক্রিকেট মহল। যা নিয়ে আজও চর্চা চলে। ভিভ-নীনার প্রেমকাহিনির সূত্রপাত আটের দশকেই। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ভারত সফরে এসেছিল। মুম্বইতে এক পার্টিতে ভিভের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় নীনার। প্রথম সাক্ষাৎ খুব সাধারণ হলেও, এর পর তাঁরা ঘনিষ্ঠ হন। একে অপরের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন। পরস্পরকে ভালোবেসেও ফেলেন। এরপরই নীনা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ওইসময় ভিভ বিবাহিত ছিলেন। এমনকি তাঁর দুটি সন্তানও ছিল। ভিভের সন্তান গর্ভে থাকলেও তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়নি নীনার। এরপর ভিভ-নীনার সন্তান মাসাবার জন্ম হয়। সিঙ্গল মাদার হিসেবে মাসাবাকে বড় করেন নীনা।
নীনা তাঁর আত্মজীবনীতে জানিয়েছিলেন, মাসাবা গর্ভে থাকার সময় তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু অভিনেতা সতীশ কৌশিক মাসাবাকে পিতৃপরিচয় দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নীনা। তবে শুধু সতীশকেই নয়, সে সময় কাউকেই বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আগাগোড়া মেয়েকে নিজের কাছে রেখেই বড় করেছেন নীনা। মাসাবা বড় হওয়ার পর, পেশা হিসেবে ফ্যাশন ডিজাইনিংকে বেছে নেন। মাসাবার নিজস্ব ব্র্যান্ড রয়েছে। তবে মায়ের কাছে বড় হলেও বরাবর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মাসাবার।
ভিভকে বিয়ে না করে মাসাবাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার ব্যাপারে এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেছেন, “আমি একজন মেয়ে, আমি প্রেমে পড়েছিলাম, অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলাম, নিজের সন্তানকে এরপর নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলাম। এটা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। অনেক কাছের মানুষ নিরুৎসাহ করেছিলেন আমায়। ওই সময় এটা বলেছিল তারা, যে এমন করলে পরে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু অল্প বয়সে কে-ই বা অন্যের কথা শোনে?”
নীনার সঙ্গে বিয়ে না হলেও মেয়ে মাসাবাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন ভিভ। যার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়। কয়েকদিন আগেই ভিভের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে অ্যান্টিগায় হাজির হয়েছিলেন মাসাবা। নিজের ইন্সটায় সেই ছবিও পোস্ট করেন তিনি। একইরকম ভাবে মাসাবা ছেলেবেলাতে প্রথমদিকে বাবার সঙ্গ না পেলেও পরে বাবাকে কাঁছে পান। এবং সুযোগ পেলেই মাসাবার সঙ্গেও সময় কাটাতেন ভিভ। এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “আমি মাসাবাকে বলেছিলাম, তোমার বাবা ফ্যামিলি ম্যান নন। তিনি কেমন সেটাও বুঝিয়ে বলেছিলাম ওকে। ভিভ মাসাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। সেটা ওর খারাপ লাগত। যাতে ওর খারাপ না লাগে, সে জন্যই বুঝিয়ে বলেছিলাম। পরে অবশ্য মাসাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করে ভিভ।” মাসাবার ছেলেবেলায় তাঁকে ও নীনাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময় বেড়াতেও গিয়েছিলেন ভিভ।
ভিভকে যে সময় পাশে পাওয়া প্রয়োজন ছিল নীনার, তা তিনি পাননি। তবে নীনার কঠিন সময়ে তিনি তাঁর বাবাকে পাশে পেয়েছিলেন। নাতনিকে সযত্নে বড় করে তুলতে নীনার বাবা বিন্দুমাত্র কার্পন্য করেননি। নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে নীনা অভিনয় জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। ভিভ ও নীনা দু’জনে আলাদা থেকেও খুশি। একটা সময় ভিভ-নীনা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরস্পরকে ভালোবেসেছিলেন। কিন্তু কখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি ভিভ-নীনা। ভিভ বিয়ে করেছিলেন মিরিয়মকে। অন্যদিকে পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বিবেক মেহেরার সঙ্গে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন নীনা।