কলকাতা: ‘মরার আগে মরব না।’ ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ (Bangladesh) বোলারদের সামনে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে দলের, তখনই হাল ধরলেন। দলনায়ক তো এমনই হওয়া উচিত। শহরে বিশ্বকাপের আবহ। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস (Netherlands) ম্যাচ দিয়ে ইডেনে বিশ্বকাপ বোধন। দুটো দলই পয়েন্ট টেবিলের শেষ প্রান্তে। তবু উচ্ছ্বাসের কোনও খামতি নেই। বাংলাদেশ থেকে একঝাঁক সমর্থক উড়ে এসেছেন কলকাতায়। এমনিতেই বাংলাদেশের কাছে কলকাতা ভীষণ প্রিয়। গ্যালারিতে দেখা মিলল ডাচ সমর্থকদেরও। ইডেনে ঢোকার আগে ডাচ সমর্থকদের চোখেমুখেও ছিল উত্তেজনা। বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় স্টেডিয়াম ইডেন। কত ইতিহাসই না লেখা এখানে!
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওলন্দাজদের হয়ে যিনি বুক চিতিয়ে লড়লেন, তিনি স্কট এডওয়ার্ডস। নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক হাফসেঞ্চুরি করলেন। ৬৮ রানের লড়াকু ইনিংস। ডাচ সমর্থকদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন এডওয়ার্ডসের দাদা ক্রিস। কমলা জার্সি, পিঠে লেখা এডওয়ার্ডস। জার্সি নম্বর ৩৫। চোখ সেই সময়ই আটকে গেল। কাছে যেতেই মিলল পরিচয়।
কলকাতায় এসে মুগ্ধ স্কটের দাদা। কলকাতার ব্যাপারে অনেক শুনেছেন। তবে এ শহর মন কেড়ে নিয়েছে ক্রিসের। মাঠে ঢোকার প্রবল ব্যস্ততার মাঝেও বলে গেলেন, ‘মেলবোর্ন থেকে পুরো পরিবার নিয়ে মাঠে এসেছি। গ্যালারিতে বসে দলের জন্য গলা ফাটাব। আমার বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। ছোটবেলা থেকে আমরা দুই ভাই অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ভক্ত। উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটিয়েছিল গিলক্রিস্ট। ওকে ছাড়া অন্য কাউকে আইডল হিসেবে তো ভাবাই যায় না।’ ক্রিস জানাতে ভুললেন না, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে আমরাও একদিন চমকে দেব। আমাদের দেশের ক্রিকেটও উন্নতি করছে ভীষণ।’
শুধু গিলক্রিস্ট নয়, ভারতের ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনিও ডাচ কিপার স্কটের ভীষণ পছন্দের। ১২ বছর আগে মাহির হাত ধরেই শেষ বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। বিশ্বের সমস্ত কিপার অধিনায়কদের কাছে ধোনিও যে পথপ্রদর্শক।