IPL 2024, Sourav Chauhan: মোতেরায় পিচ বানান বাবা, নিলামে বাতিল দু’বার, এ বার বিরাটের সঙ্গী অন্য সৌরভ!
IPL 2024 Auction: ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ পরিচিত মুখ সৌরভ। মোটামোটি সব ফর্ম্যাটেই খেলেন। তবে বড় মঞ্চের এতদিন সুযোগ এতদিন আসেনি। এর আগে দু'বার নিলামে উঠেও অবিক্রিত থেকেছেন। মন ভেঙেছে, ফের ব্যাট-বলকে আঁকড়ে ধরেই চোখ মুছেছেন। তবে হাল ছাড়েননি।
কলকাতা: ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’, এ কথার কোনও বিকল্প নেই। চেষ্টা আর একাগ্রতার জোরে স্বপ্নের কাছাকাছি ঠিকই পৌঁছানো যায়। শুধু হাল ছাড়লে চলে না, সাফল্য একদিন ঠিকই আসে। না এ কোনও রূপকথার গল্প নয়। এ এক উঠতি ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের গল্প। মঙ্গলবার, আইপিএলের নিলাম ঘর বদলে দিয়েছে বিগত ১৬ বছরের ছবিটা। কোটি কোটি টাকার বর্ষণ থেকে শুরু করে নতুনদের উঠে আসা এ সবের সাক্ষী ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। আর এই নতুনদের মধ্যেই উঠে এসেছেন গুজরাটের বাঁ-হাতি ব্যাটার সৌরভ চৌহান। বাবা দিলীপ চৌহান পেশায় মাঠকর্মী। মোতেরার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে কাজ করেন। বিরাট-রোহিতদের জন্য নিজের হাতে মঞ্চ সাজিয়ে দেন তিনি। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখেন এই মাঠেই একদিন খেলবে তাঁর ছেলে। এ বার সে স্বপ্ন পূরণের দিন এসেছে। বহুবার ব্যর্থ হওয়ার পর এ বার আরসিবির জার্সিতে আইপিএলের মঞ্চে খেলবেন ছেলে। বার-বার ব্যর্থ হয়েও কীভাবে এত দূর এলেন সৌরভ? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ পরিচিত মুখ সৌরভ। মোটামোটি সব ফর্ম্যাটেই খেলেন। তবে বড় মঞ্চের সুযোগ এতদিন আসেনি। এর আগে দু’বার নিলামে উঠেও অবিক্রিত থেকেছেন। মন ভেঙেছে, ফের ব্যাট-বলকে আঁকড়ে ধরেই চোখ মুছেছেন। তবে হাল ছাড়েননি। এক সাক্ষাৎকারে সৌরভের বাবা বলেন, “নিলামে অবিক্রিত থাকলে টিভি বন্ধ করে দিত। ব্যাট বল নিয়ে মাঠে চলে যেত। দিনরাত এক করে অনুশীলন করত। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিত আমার ছেলে। ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকত সারাদিন।” চেষ্টা কোনওদিন বিফলে যায় কি? তাই সৌরভও সেই ফসল পেল। দেরিতে হলেও আইপিএলের ডাক এল সৌরভের কাছে। মঙ্গলের নিলাম ঘরে বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এ বার বিরাট কোহলির সঙ্গে খেলবেন সৌরভ। আনন্দ বাধ মানছে না চৌহান পরিবারের।
বিরাটের ছোঁয়ার আরও একটু পরিণত হওয়ার সুযোগ এল সৌরভের কাছে। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার স্বাদ যে ভারী সুন্দর। নিলামের পর তাই সৌরভ বলছেন, “সত্যি ভীষণ ভালো লাগছে। এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম। আরসিবির হয়ে খেলব ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে। এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালস ও আরসিবির সিলেকশন ক্যাম্পে অংশ নিয়েছি। শেষমেশ আরসিবিতে সুযোগ পেলাম। আমার এই সাফল্যের কৃতিত্ব আমার কোচ তারক ত্রিবেদী ও আমার পরিবারের।”