Yashasvi Jaiswal: বিশাখাপত্তনমের নায়ক যশস্বীকে ফোন করে সচিন, এ ভাবেই খেলে যাও…
India vs England: শুধু সচিনই নন, যশস্বীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও। 'যশস্বী দারুণ প্লেয়ার। নিজের খেলাটা বোঝে। অনেকটা পথ যেতে হবে ওকে। ডাবল সেঞ্চুরিটা নিশ্চিত ভাবেই ব্যতিক্রমী একটা ইনিংস। ও টিমকে ফিরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। সব সময় খুব নম্র ছেলে।'

কলকাতা: প্রথম ইনিংসে ২০৯ করেছিলেন। ২২ বছরের বাঁ হাতি ওপেনারের ব্যাটে দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরি দেখে তৃপ্ত ছিল ক্রিকেট মহল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, গৌতম গম্ভীর, বিনোদ কাম্বলির মতো ক্রিকেটারদের বন্ধনীতে রাতারাতি জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে সচিন তেন্ডুলকর পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘যশস্বী ভবঃ!’ সেই যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) কিন্তু থেমে থাকার কথা বলছেন না। বরং সচিনের প্রশংসা তাঁকে আরও তাতিয়ে দিচ্ছে। প্রথম টেস্ট হারলেও দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন হয়েছে ভারতীয় টিমের। মাত্র ৬টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে সবে। ১১টা ইনিংসে ২টো সেঞ্চুরি। উত্তরপ্রদেশের এই ছেলে যে অনেক দূর যাবেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারওরই। যশস্বী কী বলছেন?
সচিন বরাবরই তাঁর আইডল। সেই স্বপ্নের নায়ক শুধু যে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তাই নয়, যশস্বীর সঙ্গে কথাও বলেছেন ফোনে। ম্যাচের পর যশস্বী বলে দিলেন, ‘সচিন স্যারের সঙ্গে আমার ফোনে কথাও হয়েছে। স্যার বলেছেন, এ ভাবেই ব্যাট করে যাও। নিজের ব্যাটিংয়েই ফোকাস করো। সচিন স্যার আমার আইডল। ওর এই কথাগুলোর গুরুত্ব আমার কাছে অনেক।’ প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ করে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে গিয়েছিলেন। টিম জিতেছে। তাই আর আক্ষেপ নেই যশস্বীর। তাঁর কথায়, ‘দেশের হয়ে খেলতে নেমে টেস্ট জেতা, দারুণ ফিলিং। এনজয় করেছি খুব।’ সঙ্গে বলে রাখছেন, ‘চতুর্থ দিন সকালেও আমরা ফোকাস করেছিলাম নিজেদের পরিকল্পনায়। কোচ, ক্যাপ্টেন বলেছে, যা করছিলাম, সেটাই করে যাব আমরা। পিচে একটু ক্র্যাক ছিল, খানিকটা হার্ডও। স্লিপ থেকে বুমরাভাইকে বোলিং করতে দেখা কিন্তু দারুণ একটা ব্যাপার। তীব্র গতিতে বল আসে।’
শুধু সচিনই নন, যশস্বীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও। ‘যশস্বী দারুণ প্লেয়ার। নিজের খেলাটা বোঝে। অনেকটা পথ যেতে হবে ওকে। ডাবল সেঞ্চুরিটা নিশ্চিত ভাবেই ব্যতিক্রমী একটা ইনিংস। ও টিমকে ফিরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। সব সময় খুব নম্র ছেলে।’
সাদা বল থেকে লাল বলের ক্রিকেটে এসে পারফর্ম করা কিন্তু ছিল না যশস্বীর কাছে। ‘সাদা বলের ক্রিকেটের থেকে লাল বলের ক্রিকেট একেবারে আলাদা। মানসিকতাও বদলাতে হয়। আমি রান করার দিকে ফোকাস করেছিলাম।’





