চণ্ডীগড়: প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) বিলাসবহুল গাড়ির শখ রয়েছে। বর্তমানে যুবরাজ সিং-এর একাধিক বিলাসবহুল, লেটেস্ট মডেলের গাড়ি থাকলেও, তাঁর কাছে এখনও ২২ বছরের পুরনো একটি গাড়ি রয়েছে। এই গাড়িটি যুবরাজ সিংয়ের হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের। এই গাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে যুবরাজ সিংয়ের জীবনের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় উপহারের গল্প। যুবরাজ সিং যখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরে আসেন, বাবা যোগরাজ সিং তাকে একটি স্পোর্টস মডেল হন্ডা সিটি গাড়ি উপহার দেন। গাড়িটি ছিল যুবরাজ সিংয়ের প্রথম গাড়ি। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেরা ক্রিকেটার হন যুবরাজ সিং। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বাবা যোগরাজ সিং স্পোর্টস মডেলটি কিনে নেন। কারণ বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করতে পারলে ছেলেকে বড় কোনও উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিস্তারিত TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
তবে এই চমক শুধু যুবরাজ সিংয়ের জন্যই রেখেছিলেন যোগরাজ। বিশ্বকাপ শেষে চণ্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে ফেরার পর যুবরাজ সিং তাঁর সারপ্রাইজ পেয়ে যান। বাবার দেওয়া উপহার দেখে তখন তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। এই গাড়ি চড়ে চণ্ডীগড়ের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট খেলতেও এই গাড়িতে করেই যেতেন। যুবরাজ চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১৭ থেকে তাঁর গাড়িটিতে ১ লাখ টাকার একটি মিউজিক সিস্টেমও ইনস্টল করেছিলেন! গাড়িটি এখনও যুবরাজের বাড়িতে রয়েছে। প্রথম উপহারকে সযত্নে রেখে দিয়েছেন তিনি।
২২ বছর পরও যোগরাজ সিং ছেলেকে দেওয়া প্রথম বড় উপহার খুব যত্নে রেখেছেন। যোগরাজ জানান, যুবরাজের এই প্রথম গাড়িটি কেনার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যারা এই গাড়ির জন্য বড়সড় অর্থ দিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু যোগরাজ সিং চাননি গাড়িটিকে অন্য কারও হাতে তুলে দিতে। ছেলের প্রথম গাড়ি নিজের কাছে সুরক্ষিত রেখে দিয়েছেন। আজও গাড়িটি প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয় এবং সময়ে সময়ে এর সার্ভিসিং করা হয়।