
পার্ল: বড়দিন আসতে বাকি আর দু’দিন। তার আগেই মেন ইন ব্লু পেল ক্রিসমাসের উপহার। ২০১৮ সালের পর প্রোটিয়াদের তাঁদের ডেরায় হারাল ভারত (India)। পাঁচ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) মাটিতে ওডিআই সিরিজ জিতল ভারত। শেষ বার বিরাট কোহলির নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওডিআই সিরিজ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। এ বার লোকেশ রাহুল (KL Rahul) হলেন ভারতের দ্বিতীয় ক্যাপ্টেন, যাঁর অধীনে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে ওডিআই সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। ২-১ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজ জিতেছে ভারত। এ বার ২৬ ডিসেম্বর থেকে রয়েছে টেস্ট সিরিজ। তার আগে ভারতীয় শিবিরে হবে সেলিব্রেশন। জানিয়েছেন, লোকেশ রাহুল। ম্যাচের আর কী বললেন তিনি? জেনে নিন বিস্তারিত।
তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওডিআই সিরিজ জিতল ভারত। ম্যাচের শেষে ভারতের স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল বলেন, ‘এই ছেলেগুলোর সঙ্গে খেলে ভালো লাগছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের হতাশাজনক হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছি। আসার পর থেকেই মনে হচ্ছে দলের সঙ্গে থাকতে ভালো লাগছে। সঞ্জুর জন্য খুব আনন্দ হচ্ছে। ও আইপিএলে বছরের পর বছর ধরে ভালো পারফর্ম করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ওকে তিন নম্বরে খেলার সুযোগ দিতে পারিনি। কারণ, ওডিআইতে এমন কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছে, যাঁরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। আমি খুশি ও সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। দলের ছেলেদের সঙ্গে এই জয়টা সেলিব্রেট করব। তারপর এক-দু’দিনের মধ্যে টেস্ট সিরিজে ফোকাস করব।’
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ওডিআই সিরিজে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন অর্শদীপ সিং। জো’বার্গে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, বেরহায় একটি এবং পার্লে ৪টি। সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে অর্শদীপ বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা খুবই সহজ ছিল। উইকেট টু উইকেট বলা করা। এলবিডব্লিউ করা এবং বোল্ড করা। মাঝে মাঝে যখন উইকেটে কিছু হচ্ছিল না, তখন আম্পায়ারদের কাছে থেকে সমর্থন পাবার জন্য আবেদন করছিলাম।’ তরুণ ক্রিকেটারদের উন্নতিতে আইপিএলের অবদান রয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে অর্শদীপ বলেন, ‘আমাদের মতো তরুণদের জন্য আইপিএল দারুণ একটা মঞ্চ। আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে খুব বেশি ব্যবধান নেই। আইপিএলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মানসিকতা বোঝা যায় এবং যা পরবর্তীতে সাহায্য করে। আমরা সকলেই যে সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এভাবেই ভালো পারফর্ম করতে চাই।’
সঞ্জু স্যামসন কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্জু বলেন, ‘এই শতরানে আমি গর্বিত। বিশেষ করে সিরিজে যে ফল হল তাতেও বিরাট খুশি। কঠোর পরিশ্রম করছি। এই ফর্ম্যাটে উইকেট এবং বোলারের মানসিকতা বোঝার জন্য কিছু অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়। ওপরের দিকে ব্যাটিং করতে পারলে সেই ১০-২০ বল অতিরিক্ত খেলার সুযোগ পাওয়া যায়।’ নিজের শতরানের পাশাপাশি তিলক ভার্মার প্রথম ওডিআই অর্ধশতরান নিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘তিলক যেভাবে এগিয়ে চলেছে ওর জন্য গোটা দেশ খুব গর্বিত। ওর কাছ থেকে আরও অনেক কিছু আশা করা হচ্ছে। সিনিয়ররা ভারতীয় ক্রিকেটের মান নির্ধারণ করেছে এবং জুনিয়ররা এসে নিজেদের কাজটা করছে। এটা খুব সহজ নয়, সিরিজের মাঝে ভ্রমণ করা এবং প্রতিটি ম্যাচ ২-৩ দিনের মধ্যে, কিন্তু সকলেই নিজেদের কাজ ঠিকমতো করছে।’