ICC ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে চরম ভরাডুবি, একে একে তারা খসছে সাকিবের টিম থেকে
Bangladesh: তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটারকে একাদশে রাখা হয়নি। এর আগে বাংলাদেশের মিডিয়া ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি সম্পর্কে তামিমের দাদা। শ্রীনিবাসনও তামিমের কাছের লোক। তবে কি তামিম ঘনিষ্ঠদেরই দল থেকে সরানো হচ্ছে? সবটাই কি সাকিবের পরামর্শে? বাংলাদেশ বোর্ডের সাকিবের প্রতি আস্থার কথা অজানা নয় কারও। তবে কি সাকিবের প্রতি আস্থা রাখতে গিয়ে অন্যান্যদের হারাচ্ছে দল?

নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে চরম ভরাডুবি বাংলাদেশের। আট ম্যাচের জয় মাত্র দুটিতে। চলতি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে টাইগারদের। টানা ছয় ম্যাচ হারার পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন সাকিব আল হাসানরা। টানা হারের পর সাফল্য পেয়ে খানিক আত্মবিশ্বাস ফিরলেও তাতে সুবিধা খুব একটা হয়নি সাকিবদের। তার মধ্যেই টাইগারদের শিবিরে অন্য খবর। পেস বোলিং কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন অ্য়ালান ডোনাল্ড। শুধু তাই নয়,অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার পর আর দলে পাওয়া যাবে না শ্রীনিবাসন চন্দ্রশেখরনকেও। দল যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন কেন একে একে দল ছাড়ছেন ডোনাল্ডের মতো প্রাক্তন তারকারা? দলে কি তবে চিড় ধরেছে? না কি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিতে রাজি নন তারকা কোচেরা? বিস্তারিত TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার রাতে ‘দ্য় ডেইলি স্টার’কে বিদায়ের খবর নিশ্চিত করেছেন টাইগারদের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। সংবাদমাধ্যমকে জানানো বিদায়ী বার্তায় ডোনাল্ড লিখছেন, “এটা আমার জন্য এতটা দারুণ জার্নি। পেস বোলাররা আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিল। আমি যা সম্মান পেয়েছি সকলের কাছ থেকে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেঞ্চুরিয়ান পার্কে দলের সঙ্গে যোগ দিই, পুনেতে এসে ছাড়লাম। দীর্ঘ সময় টিমের সঙ্গে থেকেছি। এই ক’দিনে বাংলাদেশ দলটা আমায় যে কতটা আপন করে নিয়েছিল, বলে বোঝানো যাবে না।” টাইগারদের নিয়ে গর্ববোধ করছেন ডোনাল্ড। তাঁর কথা অক্ষরে-অক্ষরে মেনেছে দল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার দেখানো পথেই হেঁটেছে ছেলেরা। আমি আমার ভাবনা বা সিদ্ধান্তটা শুধু ওদের জানাতাম। আমার দেখানো লক্ষ্যের পিছনেই ছুটে গিয়েছে ওরা। আমি সত্যিই ওদের জন্য গর্বিত।”
প্রতিবেশী দেশ থেকে ভেসে এসেছে আরও এক খবর। পরবর্তী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার পরই ইস্তফা দিতে চলেছেন শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। সামাজিক মাধ্যমে দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায়ের খবরটি জানিয়েছেন তিনি। এমন একটা কঠিন পরিস্থিতিতে কেন একে-একে মুখ ফেরাচ্ছেন? এই জন্য টাইগার অধিনায়ক সাকিবের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটারকে একাদশে রাখা হয়নি। এর আগে বাংলাদেশের মিডিয়া ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি সম্পর্কে তামিমের দাদা। শ্রীনিবাসনও তামিমের কাছের লোক। তবে কি তামিম ঘনিষ্ঠদেরই দল থেকে সরানো হচ্ছে? সবটাই কি সাকিবের পরামর্শে? বাংলাদেশ বোর্ডের সাকিবের প্রতি আস্থার কথা অজানা নয় কারও। তবে কি সাকিবের প্রতি আস্থা রাখতে গিয়ে অন্যান্যদের হারাচ্ছে দল? বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে এমনই সব খবর।





