
কলকাতা: এ যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ। ‘বাড়ি’ থেকে ‘ঘরে’ ফিরলেন হার্দিক পান্ডিয়া। গত কয়েক দিন থেকেই আলোচনায় হার্দিক। আগামী আইপিএলে তিনি কোন দলের হয়ে খেলবেন, সেটাই প্রশ্ন ছিল। এ দিনই ছিল রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো গুজরাট টাইটান্সও রিটেনশন লিস্ট জমা দিয়েছে। সেই তালিকায় হার্দিক পান্ডিয়ার নাম রয়েছে এবং পাশে ক্যাপ্টেনও। এরপর মনে হতেই পারে, তাহলে কি হার্দিকের পক্ষে দল বদল সম্ভব ছিল? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আগামী আইপিএলের নিলাম ১৯ ডিসেম্বর। নিলামের সাত দিন আগে অবধি ট্রেডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। দলগুলি নিজেদের মধ্যে ট্রেডিংয়ের মাধ্য়মে প্লেয়ার অদল বদল করতে পারবেন। সে কারণেই রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার পরও হার্দিকের দল বদলের সম্ভাবনা জিইয়ে ছিল। শেষ অবধি সেটাই হল। হার্দিককে তুলে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিকের আইপিএল কেরিয়ার শুরু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই। তেমনই তাঁর বাড়ি গুজরাটে। সেই অর্থে বলাই যায়, ‘বাড়ি’ থেকে ‘ঘরে’ ফিরলেন হার্দিক।
২০২২ সালে আইপিএলে যোগ হয় দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গুজরাট টাইটান্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। মুম্বই ছেড়ে টাইটান্সে যোগ দেন হার্দিক। অধিনায়ক করা হয় তাঁকে। হার্দিকের নেতৃত্বে প্রথম বার আইপিএল খেলতে নেমেই চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। গত মরসুমেও ফাইনালে উঠেছিল তারা। বৃষ্টির কারণে ফাইনাল গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে। দু-দিনের ফাইনালের ফয়সালা শেষ বলে। রানার্স হলেও পুরো টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স ছিল টাইটান্সের। হার্দিককে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত একেবারেই সহজ ছিল না গুজরাট টাইটান্সের জন্য। তেমনই তাঁকে পেতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও।
রাত বাড়তেই পরিস্থিতি বদলায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে অল-ক্যাশ ডিলে আরসিবিতে যোগ দেন ক্যামেরন গ্রিন। গুজরাট টাইটান্স থেকে অল ক্যাশ ডিলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে হার্দিক পান্ডিয়া। যা পরিস্থিতি, আরও অনেক চমকই অপেক্ষা করছে।