
মিচেল স্টার্ক। নামটাই যথেষ্ঠ। তাঁর পরিচয় আলাদা করে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু এ বারের আইপিএলে শিরোনামে মিচেল স্টার্ক। ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম ট্রফি। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মিচেল স্টার্কের। অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছিল হতাশায়। শেষ অবধি ট্রফি জয়। তাও আবার ভারতকে হারিয়েই। হঠাৎ কেন শিরোনামে মিচেল স্টার্ক। কারণ, আইপিএলে কেকেআর জার্সিতে মাঠে নামার আগেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ফরম্যাট যাই হোক, মিচেল স্টার্ক বরাবরই ফ্যাক্টর। আর তাঁকে নিতে এ বারের মিনি অকশনে টাকার বৃষ্টি করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এক নজরে সাদা-বলের ক্রিকেটে মিচেল স্টার্কের পারফরম্যান্স জেনে নেওয়া যাক। দেশের জার্সিতে ১২১ ওয়ান ডে ম্যাচে ২৩৬, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬০ ম্যাচে ৭৪, এ ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১২৩ ম্যাচে ১৭১ উইকেট! আইপিএলে খেলেছেন মাত্র দু-মরসুম!
মিচেল স্টার্ক চোট প্রবণ। দেশের জার্সিতে খেলার জন্য বেছে বেছে ম্যাচ খেলেন। তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টে বাড়তি নজর দেন। সে কারণেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন না স্টার্ক। কেরিয়ার এখন শেষের দিকে। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে কেকেআর জার্সিতে দেখা যাবে। আশঙ্কা একটা থাকছেই। তাঁকে ঠিক কত ম্যাচে পেতে পারে কেকেআর। তার কারণ চোট প্রবণতা। আর যদি পুরো টুর্নামেন্টে ফুল ফিট স্টার্ককে পাওয়া যায়, নাইটদের এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন মিচেল স্টার্ক।
মিনি অকশনে তাঁকে ২৪.৭৫ কোটিতে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। স্টার্ক শুধু প্লেয়ার নন, কেকেআর শিবিরে অলিখিত পেস বোলিং কোচও বলা যায়। নাইট শিবিরে একঝাঁক তরুণ পেসার। হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা, চেতন সাকারিয়া আর পুরোপুরি নতুন মুখ সাকিব হোসেন! মিচেল স্টার্ককে রেকর্ড দামে কেন নেওয়া হয়েছিল, এই প্রসঙ্গে কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীরও সেই যুক্তিই দিয়েছেন। তরুণ প্লেয়ারদের কাছে স্টার্ক মেন্টর। তাঁর কাছ থেকে নতুনরা শেখার সুযোগ পাবেন।
আইপিএলে স্টার্কের প্রোফাইল? ২০১৪ এবং ২০১৫ মরসুম মিলিয়ে ২৭ ম্যাচ খেলেছিলেন স্টার্ক। প্রথম মরসুম খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে। ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন। পরের মরসুমেও আরসিবিতে। ২০১৬ মরসুমে আরসিবিতেই খেলার কথা ছিল। চোটের জন্য ছিটকে যান। ২০১৮ সালে ফের আইপিএলে রেজিস্টার করেছিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সই তাঁকে নিয়েছিল। অকশনে তাঁর জন্য ঝাঁপায়নি আরসিবি। আসলে পুরনো ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা থেকেই আরসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেকেআর তাঁকে সে বার নিলেও চোটের জন্য পায়নি।
কয়েক বছর আগের স্টার্ক, আর বর্তমানের মধ্যে অনেক ফারাক। এ বার আশা এবং আশঙ্কা দুটি বিষয়ই যেন কাজ করছে কেকেআর শিবিরে। তবে আশার পরিমাণই বেশি।