
কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সুনীল নারিন। ভালো সময়ে ছিলেন, খারাপ সময়েও। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হোক বা বিশ্বের যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের চাহিদা আলাদাই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা কার্যত হটকেক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাওয়ার হিটাররাই পছন্দ। সুনীল নারিনের অস্ত্র অন্য। ব্যাটের হাত মন্দ নয়। তবে তাঁর মূল পরিচয় বলা যায়, মিস্ট্রি স্পিনার। এক যুগের সফর, সুনীল নারিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এখনও অবধি দু-বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ট্রফি ২০১২ সালে। অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। চ্যাম্পিয়ন টিমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুনীল নারি। শুধু সদস্য বললে ভুল হবে। কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম কারিগর ছিলেন সুনীল নারিন। ২০১২ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে উইকেট শিকারিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কেকেআরের এই স্পিনার। ১৫ ম্যাচে ২৪টি উইকেট নিয়েছিলেন নারিন।
সেই যে ২০১২ সালে কেকেআরের সঙ্গে পথ চলা শুরু, এখনও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুনীল নারিন। গত মরসুমে অবশ্য সুনীল নারিনের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পুরো টিমের পারফরম্যান্সও খুব ভালো ছিল না। হাতে গোনা কিছু ম্যাচে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখা গিয়েছিল। কোনও ম্যাচে রাসেল, কোনও ম্যাচে রাসেল আবার কখনও রিঙ্কু সিং। টিম হিসেবে ভালো পারফর্ম করতে পারলে, রেজাল্ট হয়তো ইতিবাচক হত।
শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিল, অনেক মিস্ট্রি স্পিনারই উঠে আসেন। ধীরে ধীরে হারিয়েও যান। মিস্ট্রি আর থাকে না। সুনীল নারিনের ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা হয়নি। বরং, সময়ের সঙ্গে তাঁর মিস্ট্রি যেন আরও বেড়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বা আরও ভালো করে বললে, সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি জরুরি হল ডট বল। বোলিংয়ে বৈচিত্র অনেক বেশি বলেই ডট বল দিয়ে প্রতিপক্ষর উপর চাপ তৈরি করেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক। ১৬২টি ম্যাচ খেলেছেন সুনীল নারিন। রান করেছেন ১০৪৬। উইকেট ১৬৩টি। এর থেকেই বোঝা যায়, তিনি কতটা ধারাবাহিক।