জাতীয় দলে ব্রাত্য। কাউন্টি ক্রিকেটে মাতিয়ে এসেছেন। ইরানি কাপে মুম্বইয়ের নেতৃত্বে সেই অজিঙ্ক রাহানেই। অন্যদিকে, সরফরাজ খান। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্ট সিরিজে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু লোকেশ রাহুল ফেরায় টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা ধরে রাখলেও একাদশে সুযোগ হয়নি। বোলিংয়ে একই কথা বলতে হয় মুকেশ কুমারের ক্ষেত্রেও। ব্যাক আপ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন। ইরানি কাপের প্রথম দিন এই ‘বাতিল’রাই অনবদ্য। কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। সিরিজ জয় ২-০ ব্যবধানে। লখনউতে ব্যাট হাতে দাপট রাহানে-সরফরাজের। আর একজনের কথাও ভুললে চলবে না, শ্রেয়স আইয়ার।
ইরানি কাপে মুখোমুখি গত বারের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই এবং অবশিষ্ট ভারত একাদশ। সরফরাজকে পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল মুম্বই শিবিরে। বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কানপুরে একাদশ কী হচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে সরফরাজকে পাওয়া। তেমনই অবশিষ্ট ভারত একাদশের ধ্রুব জুরেল, যশ দয়ালদের ক্ষেত্রেও একই বার্তা ছিল। চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তিন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অবশিষ্ট ভারত একাদশের ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁর পরিকল্পনা সঠিক প্রমাণ করেন পেসার মুকেশ কুমার। মাত্র ৩৭ রানেই ৩ উইকেট হারায় মুম্বই। তিনটি উইকেটই মুকেশ কুমারের ঝুলিতে। মুম্বইয়ের পরিস্থিতি সামাল দেন ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে ও শ্রেয়স আইয়ার। জুটিতে ১০২ রান যোগ করেন। ভারতীয় টেস্ট স্কোয়াড থেকে ফেরা বাঁ পাতি পেসার যশ দয়াল জুটি ভাঙেন। অনবদ্য হাফসেঞ্চুরির পর আউট শ্রেয়স (৫৭)।
কাউন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখানো রাহানে অবশ্য একদিক আগলে রাখেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন সরফরাজ খান। দু-জনেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন। মন্দ আলোয় সময়ের আগে খেলা বন্ধ না হলে প্রথম দিনই হয়তো সেঞ্চুরি সেরে ফেলতে পারতেন অজিঙ্ক রাহানে। প্রথম দিন ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান তুলেছে মুম্বই। অজিঙ্ক রাহানে ৮৬ এবং সরফরাজ ৫৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন।