
কলম্বো: সব রকম মুহূর্তই রইল। অনবদ্য ক্যাচ, সহজ ক্যাচ মিস, ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, টিম এফোর্ট, কী নেই? ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা এক মুহূর্তের জন্যও কাউকে ফেভারিট ধরা যায়নি। টানা তিন দিন ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ভারতীয় দল বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল। ভয় ছিল আত্মতুষ্টিরও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২২৮ রানের বড় ব্যবধানে জয়ের পর শিবিরে একটু গাছাড়া ভাব দেখা গেলেও অবাক হওয়ার ছিল না। রোহিত শর্মার হাফসেঞ্চুরিতে ভালো শুরু হয়েছিল ভারতের। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ২০ বছর বয়সি বাঁ হাতি স্পিনারের সৌজন্য কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হল ভারতকে। স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ অবধি ৪১ রানের ব্যবধানে জয়। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মা যা বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শ্রীলঙ্কা টানা ১৩টি ওডিআই জিতে নেমেছিল। ওয়ান ডে ক্রিকেটে টানা ২১টি জয়ের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হল না। ভারতের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার মরিয়া লড়াই নজর কাড়ার মতোই। ম্যাচ শেষে রোহিতও বলছেন, ‘দারুণ একটা ম্যাচ হল। এরকম চাপের একটা ম্যাচ জেতা আমাদের কাছে ভালো দিক। সব দিক থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি। এরকম পিচে আরও ম্যাচ খেলতে চাই। নিজেদের পরীক্ষা করতে চাই।’
স্পিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটাররা চাপে পড়েন। তেমনই এই পিচেই ভারতীয় পেসাররাও দারুণ বোলিং করলেন। স্পিন, পেস, ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ। স্পোর্টিং পিচ বা চ্যালেঞ্জিং পিচ, সবই বলা যেতে পারে। মিডল ওভারে ভারতকে চাপে রেখেছিল একটা পার্টনারশিপ। এমন সময় হার্দিক পান্ডিয়া দুর্দান্ত একটা স্পেল করেন। ব্রেক থ্রুও দেন। হার্দিককে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ক্য়াপ্টেন বলছেন, ‘বোলিং নিয়ে ও প্রচুর পরিশ্রম করছে। মাঝের ওভারে অনবদ্য একটা স্পেল করল। এই রান ডিফেন্ড করা সহজ ছিল না। পরের দিকে পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা ভালো হয়েছিল। স্নায়ুর চাপ সামলে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বোলিং করে যেতে হয়েছে।’