পাল্লেকেলে: একটা স্বপ্নের বছর। সব ফরম্যাট মিলিয়েই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএলেও দুর্দান্ত কেটেছে। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচ তাঁকে হতাশ করেছে। কিং কোহলির পর যাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের সুপারস্টার ধরা হচ্ছে, পাকিস্তান ম্যাচটা একেবারেই ভালো যায়নি। প্রিন্স অব ক্রিকেট নেপালের বিরুদ্ধে আরও একটা হাফসেঞ্চুরি করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরুটা ভালো হয়েছিল। কিন্তু হ্যারিস রউফের ইনসুইং তাঁর ডিফেন্স ভেঙে দেয়। নেপালের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংসে অনেকটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। ১০ তারিখ ফের ভারত-পাকিস্তান। নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর কী বলছেন শুভমন? এ-বছর কেন স্বপ্নের বলা হচ্ছে! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিসংখ্যানে আসা যাক। এ বছর টেস্ট ক্রিকেটে করেছেন ২৩০ রান। একটি সেঞ্চুরি, সেই ইনিংসটি ছিল ১২৮ রানের। ওয়ান ডে ফরম্যাটে এ বছর করেছেন ৮২৭ রান। সেঞ্চুরি তিনটি। এর মধ্যে রয়েছে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও। সেরা স্কোর ২০৮। দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ বছর তাঁর রান ৩০৪। রয়েছে একটি সেঞ্চুরিও। অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংস। আইপিএলে ৮৯০ রান, ৩টি সেঞ্চুরি। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট, ওয়ান ডে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এবং আইপিএলে একই বছরে সেঞ্চুরির রেকর্ড!
নেপালের বিরুদ্ধে ভারতের পরিবর্তিত টার্গেট ছিল ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। রোহিতের সঙ্গে সেই রান তুলে দেয় শুভমনের ওপেনিং জুটি। ম্যাচ শেষে শুভমন বলেন, ‘সত্যি বলতে এই দুটো ম্যাচ থেকে বিশেষ কিছু প্রাপ্তি নেই। একটা ম্যাচ সম্পূর্ণই হয়নি। সৌভাগ্যবশত আমরা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। আর এই ম্যাচে বোলিংয়েরও সুযোগ পেলাম।’
রোহিতের সঙ্গে জুটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এক ম্যাচ আগেই যে ভাবে আউট হয়েছিলাম, খুবই হতাশার। নেপালের বিরুদ্ধে রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে ম্যাচটা ফিনিশ করে আসা খুবই জরুরি ছিল। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে। রোহিত ভাই যে কোনও দিকেই হাওয়ায় শট খেলতে ভালোবাসে। আমি ছয় মারার চেয়ে বাউন্ডারিতে ফোকাস বেশি পছন্দ করি।’ নেপালের বোলিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন শুভমন। বৃষ্টির পর নেপাল বোলারদের কাজটা কঠিন হয় বলেই মনে করেন গিল।