
টস জিতে ব্যাটিং! রশিদ খান ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন? দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান ক্যাপ্টেনকে নিয়ে এমন প্রশ্নই ওঠে। যদিও সেই সিদ্ধান্ত ঠিক প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি আফগানিস্তান। আবু ধাবিতে আফগানিস্তান বনাম হংকং ম্যাচ দিয়ে শুরু হল এশিয়া কাপ। টস জেতেন আফগান ক্যাপ্টেন। শুরুর দিকে পিচে পেসাররা সুবিধা পাবেন এমনই প্রত্যাশিত। হংকং অবশ্য তার পুরোপুরি সুযোগ নিতে ব্যর্থ। বিশেষ করে বলতে হয় তাদের ফিল্ডিংয়ের কথা। এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে ছাপ ফেলতে হলে ফিল্ডিং প্রথম গুরুত্বপূর্ণ দিক। যেখানে ফেল করল হংকং। ৯৪ রানের বিশাল জয় দিয়ে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু আফগানিস্তানের।
একঝাঁক ক্যাচ মিস। এর মধ্যে তিন বার জীবন পান আফগান ওপেনার সিদ্দিকুল্লা অটল। গত এমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেই নজর কাড়ছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। সিনিয়র টিমেও সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। হংকংয়ের বিরুদ্ধেও ভুল করলেন না। ক্যাচ মিস করে যেমন সুযোগ করে দিয়েছেন, সিদ্দিকুল্লা নিজের ব্যাটিংয়ে অটল রইলেন। শেষ অবধি ৫২ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত অটল।
আফগান ইনিংসে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহম্মদ নবি। ইনিংসের শুরুতে পরপর দু-উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়েছিল আফগানিস্তান। এরপর নবির ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। অটলের সঙ্গে পার্টনারশিপে ভরসা দেন। অটল সেট হতেই সমস্যার সমাধান। মিডল অর্ডারে আজমতুল্লা ওমরজাইয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিং। মাত্র ২১ বলে ৫৩ রান করেন ওমরজাই। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে আফগানিস্তান।
হংকংয়ের মতো আফগানিস্তানও বেশ কিছু ক্য়াচ মিস করে। পার্থক্য একটাই, সেই সুযোগ নিতে ব্যর্থ হংকং। বোর্ডে ১৮৯ রানের বড় টার্গেট। জোড়া রান আউট, মাত্র ২২ রানেই ৪ উইকেট হারায় তারা। এরপর ২০ ওভার খেলাই প্রাথমিক টার্গেট হয়ে দাঁড়ায়। টি-টোয়েন্টিতে কার্যত টেস্টের ব্যাটিং। এর মধ্যে কিছুটা নজর কাড়লেন বাবর হায়াত। ৪৩ বলে ৩৯ করেন বাবর। এর মধ্যে তিনটি বিশাল ছয় রয়েছে।
ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেলেও হংকং ব্যাটাররা স্ট্রাইক রোটেট করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছিলেন। যদিও খুব একটা নজরকাড়া ব্যাটিং দেখা যায়নি। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করে হংকং। আফগান অলরাউন্ডার ওমরজাই ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নজর কাড়েন।