
এশিয়া কাপ আট দলের টুর্নামেন্ট। গ্রুপে চারটি করে দল। সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ বি। হংকংয়ের মতো তথাকথিত দলকে বাদ দিলে বাকি তিন দলের শক্তি কার্যত একই। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ থেকে দুটি দল সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে। এই গ্রুপে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলি নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াবে। বাংলাদেশ জয় দিয়েই এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে হার। প্রবল চাপে পড়ল বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে জিতলেও বাংলাদেশের চিন্তা ছিল ব্যাটিং। দুই ওপেনার ব্যর্থ হয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ক্যাপ্টেন লিটন দাসই একমাত্র ছাপ ফেলেছিলেন। তৌহিদ হৃদয় ৩৫ রান করলেও তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল একশোরও কম। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিংয়েই ডুবল বাংলাদেশ। কিংবদন্তি সনৎ জয়সূর্যর কোচিংয়ে দুর্দান্ত শুরু শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের টার্গেট মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে পূরণ করে। শুধু তাই নয়, ১৪.৪ ওভারের মধ্যে টার্গেট পূরণ করে নেট রান রেটও ভালো করে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পেস এবং স্পিন, দুই বিভাগেই গোছানো বোলিং। বাংলাদেশের দুই ওপেনার খাতাই খুলতে পারেননি। ক্যাপ্টেন লিটন দাস ২৬ বলে ২৮ রান করেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে জাকের আলি ৩৪ বলে ৪১ এবং শামিম হোসেন ৩৪ বলে ৪২ রান করেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট যথারীতি চিন্তার বিষয়। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে বাংলাদেশ। হাতে উইকেট থাকলেও গতি বাড়াতে ব্যর্থ।
রান তাড়ায় মসৃণ গতিতেই এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। যদিও ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে দ্রুতই হারায়। আর এক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা এবং তিনে নামা কামিল মিশারা দুর্দান্ত জুটি গড়েন। এক সময় মনে হয়েছিল ৯ উইকেটেই ম্যাচ জিতবে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিশাঙ্কা ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করে ফেরেন। তরুণ ব্যাটার কামিল মিশারা ৩২ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন।