AUS vs ENG Match Report: অস্ট্রেলিয়ার অনবদ্য জয়, লজ্জা বাড়ল চ্যাম্পিয়নদের
ICC World Cup Match Report, Australia vs England: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই 'অ্যাসেজ' জিতলে হয়তো সম্মান পুনরুদ্ধার হত কিছুটা। সেই সুযোগও হাতছাড়া। রান তাড়ায় খাবি খেল ইংল্যান্ড। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জল হল অস্ট্রেলিয়ার। চাপের মুখে অনবদ্য পারফরম্যান্স মার্নাস লাবুশেনের। ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকস ও মইন আলি মরিয়া চেষ্টা চালালেও সাফল্য এল না।
আমেদাবাদ: সেমিফাইনালের সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এ বার সরকারি ভাবে ইংল্যান্ডকে দৌড় থেকে ছিটকে দিল অস্ট্রেলিয়া। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে সব ম্যাচই এখন মর্যাদার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই ‘অ্যাসেজ’ জিতলে হয়তো সম্মান পুনরুদ্ধার হত কিছুটা। সেই সুযোগও হাতছাড়া। রান তাড়ায় খাবি খেল ইংল্যান্ড। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জল হল অস্ট্রেলিয়ার। চাপের মুখে অনবদ্য পারফরম্যান্স মার্নাস লাবুশেনের। ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকস ও মইন আলি মরিয়া চেষ্টা চালালেও সাফল্য এল না। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ধারাবাহিক ব্যর্থতায় হাল ছেড়েছে ইংল্যান্ড। তবে অ্যাসেজের গুরুত্ব সবসময়ই আলাদা। সমানে সমানে লড়াই হবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। ম্যাচের আগে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল অস্ট্রেলিয়া। অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ছিটকে গিয়েছিলেন। তাঁকে ছাড়া এখন কম্বিনেশন ভাবাই যায় না। ম্যাক্সিকে ছাড়াই নামতে হয়। টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ড। শুরুতে বেকায়দাও ফেলেন। এ বারের বিশ্বকাপে অজি ব্যাটিংকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তেমনই দলে ফিরেই দাপট দেখাচ্ছেন ট্রাভিস হেড। শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে অনাবিল আনন্দ দিয়েছিলেন ক্রিস ওকস। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
স্টিভ স্মিথ-মার্নাস লাবুশেন অনবদ্য ব্যাটিং করেন। মিডল অর্ডারে ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস স্টইনিসরা অবদান রাখেন। শেষ দিকে অজি ইনিংস জমিয়ে দেন অ্যাডাম জাম্পা। মাত্র ১৯ বলে ২৯ কান করেন! যদিও অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। ৪৯.৩ ওভারে ২৮৬ রানেই অলআউট অজিরা।
ইংল্য়ান্ডের কাছে সুযোগ ছিল এই ম্যাচ জেতার। কিন্তু হারতে হারতে আত্মবিশ্বাসও সবটাই যেন হারিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। প্রথম বলেই উইকেট দিয়ে আসেন জনি বেয়ারস্টো। ডেভিড মালান হাফসেঞ্চুরির পরই আউট। মরিয়া চেষ্টা চালালেন বহু যুদ্ধের নায়ক বেন স্টোকস। একই কথা প্রযোজ্য মইন আলির ক্ষেত্রেও। এই দু-জনকে দেখে মনে হচ্ছিল, একটা জয় আসছে। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পা এই দু-জনকে ফিরিয়ে যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দেন। স্টোকস ৬৪ রান করেন। মইন ৪২। তা যথেষ্ঠ ছিল না। ৪৮.১ ওভারে ২৫৩ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। অ্যাডাম জাম্পা ১০ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।