
বেঙ্গালুরু: জয়ের ব্যবধান ৬২ রান। তারপরও বলতে হচ্ছে রুদ্ধশ্বাস জয়। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের নজির পাকিস্তানের দখলেই। এই বিশ্বকাপেই সেই রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিততে হলে নিজেদের রেকর্ডই ছাপিয়ে যেতে হত। ক্যাচ মিস যে কত বড় ধাক্কা হতে পারে পাকিস্তান আরও ভালো ভাবে টের পেল। মাত্র ১০ রানে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফসকেছিল। ওয়ার্নারের মতো চ্যাম্পিয়ন ব্যাটারের ক্যাচ ফসকালে তার ফল ভুগতে হবেই। হলও তাই। ১৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। সেঞ্চুরি আর এক ওপেনার মিচেল মার্শের। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৩৬৮ রানের বিশাল টার্গেট দেয় অস্ট্রেলিয়া। ৩০ ওভার অবধিও রান তাড়ায় সঠিক পথেই ছিল পাকিস্তান। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বেঙ্গালুরু ‘কখনও’ খালি হাতে ফেরায় না অস্ট্রেলিয়াকে! পরিসংখ্যান তাই বলছে। বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচেই জয়। এ দিন অবশ্য সাময়িক চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ছোট মাঠ। পিচও ব্যাটিং সহায়ক। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এখানে হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়। জশ হ্যাজলউড, অ্যাডাম জাম্পা, মার্কাস স্টইনিসরা ভালো ভাবেই জানেন। শুরুতেই অবশ্য বিশাল ভুল করে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদির শর্টপিচ ডেলিভারিতে পুল ওয়ার্নারের। যদিও ব্যাটে ঠিকঠাক লাগেনি। বল ওপরে। মিড অনে ক্যাচের অপেক্ষায় উসামা মির। বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ম্যাচ। স্নায়ুর চাপে হাতের ক্যাচও ফসকান।
লক্ষ্য ৩৬৮। আব্দুল্লা শফিক-ইমাম উল হকের ওপেনিং জুটির দারুণ শুরু। মার্কাস স্টইনিস আক্রমণে এসেই জোড়া ধাক্কা দেন। দুই ওপেনার তথা সেট ব্যাটার ফেরায় চাপে পড়ে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজমও ভরসা দিতে ব্যর্থ। জোড়া ক্যাচ ফেলে নিজেদের চাপ বাড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জাম্পার বোলিংয়ে অবশ্য অনবদ্য ক্যাচ নিলেন প্যাট কামিন্স। ক্রিজে রিজওয়ান থাকায় তবুও জয়ের স্বপ্নে বুঁদ ছিল পাকিস্তান। ৪১তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে আউট রিজওয়ান। সে সময় দলের স্কোর ২৭৪। সেখান থেকে ৪৬ ওভারের মধ্যে ৩০৫ রানেই অলআউট পাকিস্তান। গত ম্যাচে ভারতের কাছে, এ বার অস্ট্রেলিয়া। টানা দু-ম্যাচ হেরে চাপ বাড়ল বাবরদের।