কলকাতা: কোভিড ১৯ ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। সেটাই কী কাল হল শেন ওয়ার্নের জন্য? গতবছরের মার্চ মাসে ৫২ বছরের অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কিংবদন্তির প্রয়াণে চমকে গিয়েছিল ক্রীড়া বিশ্ব। মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওয়ার্ন। এর কারণ হিসেবে শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনকে দায়ী করা হয়েছিল। বয়স বাড়লেও নিজের জীবন যাপন পাল্টাননি। সুস্থ সবল, ক্রীড়া জগতের একজন মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কী সেটাই একমাত্র কারণ? ১৪ মাস পর ওয়ার্নের মৃত্যু নিয়ে দু’জন চিকিৎসক তোলপাড় ফেলে দেওয়া দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে অসময়ে চলে যেতে হয়েছে অজি কিংবদন্তিকে। কোভিড ভ্যাকসিন (Covid 19 Vaccine) না নিলে তিনি হয়তো বেঁচে থাকতেন। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
গতবছর নিজের দেশ থেকে বহুদূরে থাইল্যান্ডের কো সামুই দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ওয়ার্ন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিলাসবহুল রিসর্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। মৃত্যুর ৯ মাস আগে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ক্রিস নীল এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ব্রিটিশ কার্ডিওলজিস্ট অসীম মলহোত্রার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওয়ার্নের মৃত্য়ুর কারণ হতে পারে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন। ওয়ার্ন যে কোম্পানির ( mRNA) ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তা থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। mRNA ভ্যাকসিন থেকে করোনারি ডিজিজ খুব দ্রুত শরীরে বাসা বাঁধে। বিশেষ করে যাঁরা আগে থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। দুই বিখ্যাত চিকিৎসকের এই দাবিতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।
ড. মালহোত্রা বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটারের মাত্র ৫২ বছর বয়সে হৃদরোগ আক্রান্ত হন। সেটিই তাঁর মৃত্যুর কারণ। সবাই জানেন তাঁর জীবন যাপনের ধারা মোটেও স্বাস্থ্যকর ছিল না। প্রচুর স্মোকিং করতেন এবং ওজন বেড়ে গিয়েছিল। আমার বাবার মৃত্যু হয়েছিল ফাইজার ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পর। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকে হার্টের সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল।”