কলকাতা: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ইতিহাস গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি ব্যাটার ট্রাভিস হেড (Travis Head)। ওভালের মাঠে ভারতীয় বোলারদের নাকানিচোবানি খাইয়ে মাত্র ৬০ বলে দুরন্ত শতরান হাঁকান। WTC ফাইনাল-কে ‘টেস্ট বিশ্বকাপ’ হিসেবে ধরলে ফাইনাল ম্যাচে শতরানের নজির এই প্রথম। অস্ট্রেলিয়ার ২৯ বছরের বাঁ হাতি ব্যাটার প্রথম দিনের শেষে ১৫৬ বলে ১৪৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। দেড়শো রান থেকে সামান্য দূরে। আজ, বৃহস্পতিবার ডব্লিউটিসি ফাইনালের (WTC Final 2023) দ্বিতীয় দিনে শতরানকে দ্বিশতরানে বদলে দিতে পারেন তিনি। আপাতত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সুপারহিট ট্রাভিস হেড। কিন্তু জানেন কি ভারতীয় বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া হেড একবার মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছিলেন? দুর্ঘটনার মুহূর্তে অজি ক্রিকেটারের সঙ্গেই ছিলেন তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা পার্টনার(বর্তমানে স্ত্রী) জেসিকা ডেভিস। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports–র এই প্রতিবেদনে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের মে মাসের। ট্রাভিস হেডের পার্টনার জেসিকা তখন গর্ভবতী। দু’জনে অস্ট্রেলিয়া থেকে মালদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কয়েকটা দিন মালদ্বীপের মতো মনোমুগ্ধকর জায়গায় কাটিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। ১ ঘণ্টার বিমান যাত্রায় সেদিন প্রাণটাই খোয়াতে বসেছিলেন বিমানে থাকা ট্রাভিস হেড সহ বাকি যাত্রীরা। বিমান যখন মাঝ আকাশে তখনই কোনও ত্রুটি দেখা দেয়। আসন্ন বিপদের আঁচ পেয়ে যাত্রীরা ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেন। যে কারণে যাত্রা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যে বিমানটিকে একটি শুনশান দ্বীপে জরুরি অবতরণ করানো হয়। গন্তব্যস্থল থেকে যার দূরত্ব ছিল ৪৫ মিনিটের মতো। এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের পর ট্রাভিস ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা পার্টনারকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে না ছিল জল বা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা। চার ঘণ্টা ধরে ওভাবে আটকে থাকার পর অন্য একটি প্লেন এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আকস্মিকতা কাটিয়ে ওঠার পর পুরো ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছিলেন হেডের পার্টনার জেসিকা।
বিমান দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে ফেরা সেই ট্রাভিসের ব্যাটে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হাতছাড়া করার আশঙ্কা ভারতের। স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে এখনও পর্যন্ত ২৫১ রানের পার্টনারশিপ। বড় স্কোর গড়ার দিকে এগোচ্ছেন। ওভালের WTC ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে ট্রাভিসকে দ্রুত না ফেরালে ভারতের কপালে দুঃখ আছে।