
কলকাতা: পাকিস্তান ক্রিকেটে (Pakistan Cricket) যে সবকিছু ঠিকঠাক নেই তা বিশ্বের সকলেই জানেন। ফের পাক ক্রিকেটে ঠোকাঠুকি। বাবর আজমের ক্যাপ্টেন্সিতে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল আজম খানের (Azam Khan)। তিনি খেলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বেও। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে এখনও অবধি পাকিস্তানের হয়ে মাত্র ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটার আজম খান। এ বার তিনি পাকিস্তান টিমের ম্যানেজমেন্টের এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ২৫ বছর বয়সী আজম খান সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাক দলের অংশ ছিলেন। সেখানে তিনি সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাকি ২ ম্যাচ বেঞ্চে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। আজম খানের দাবি, তাঁর ওপর অন্যায় করছে পিসিবি।
বর্তমানে পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার ইন্টারন্যাশানাল লিগ টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলছেন। ডেজার্ট ভাইপার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেন তিনি। সেখানে ডেজার্ট ভাইপার্স ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব মালিকের সঙ্গে এক আলোচনায় আজম খান পাকিস্তানের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ওপর নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আজম খান বলেন, ‘গত ৪ বছরে আমি ৩ বার কামব্যাক করেছি। কিন্তু আমি কখনও পুরো সিরিজ খেলার সুযোগ পাইনি। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। আমি মনে করি আমাকে পুরো সিরিজ খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত, না হলে আমাকে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া উচিত। অযথা আমাকে ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এই বিষয়টা নিয়ে আমি অনুতপ্ত।’
পাক উইকেটকিপার ব্যাটারের কথায়, ‘বিদেশী কোচদের অধীনে যখন খেলেছি, তাঁরা আমাকে এটা অনুভব করায় না যে আমি দুর্বল। কিন্তু যখন আমি পাকিস্তান টিমের হয়ে খেলি, তাঁরা আমাকে অনুভব করায় যে আমি দুর্বল। আমি সবসময় বুঝতে পেরেছি যে আমি যখন লিগ ক্রিকেট খেলি, আমি সম্পূর্ণ সুযোগ পাই। কারণ আমার টিম জানে যে আমি ম্যাচ জিততে পারি। তাই এই টিম আমাকে এখানে ডেকেছে। তাই মনে হয়, হয়তো পাক টিম ম্যানেজমেন্টের আমার উপর আস্থা নেই। আমার মনে সন্দেহ হয় যে হয়তো আমি ওই স্তরে ভালো পারফর্ম করতে পারি না। সেটাই যদি ভাবনা হয়ে থাকে, তা হলে তা-ই ঠিক আছে। আমি আমার নিজের পথ খুঁজে নেব।’
গ্রিন আর্মির তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার আজম খান যা-ই বলুন না কেন, যে ক’টি টি-২০ ম্যাচ দেশের হয়ে তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তাতে যে খুব আহামরি পারফর্ম করতে পেরেছেন তেমনটাও নয়। তাই হয়তো তাঁর উপর পুরো আস্থা রাখতে পারছে না পিসিবি। এখনও অবধি ৮টি টি-২০ ম্যাচে তিনি করেছেন মাত্র ২৯ রান।