ইসলামাবাদ: অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা টিম নিয়ে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডের কাছে হারতেই সেমিফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। তার পর পাকিস্তান নিয়ে ফের আশা জেগেছে প্রাক্তনদের মনে। বেশ কিছু পরামর্শও ফের ভেসে এসেছে তাঁদের তরফে। সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বাবর আজমের ব্যাটিং অর্ডার বদলের পরামর্শ। পাক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে এর আগে বিভিন্ন কথা বলেছেন প্রাক্তন। এখন তাঁদের পারমর্শ, ওপেন না করে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে নামুন বাবর। বিষয়টি নিয়ে সওয়াল করেছেন পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেই তালিকায় রয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি এবং কামরান আকমলের মতো প্রাক্তনরাও। পাশাপাশি বিশ্বকাপের পর বাবরথেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটার ইউনুস খানের পাশে বসে এক অনুষ্ঠানে বাবরকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরানোর জোরালো সওয়াল করেছেন প্রাক্তন পাক উইকেটরক্ষক কামরান আকমল। পাক অধিনায়ক হিসাবে বাবরের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট তিনি। বাবর আজমের থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে আকমল বলেছেন, “এ রকম ঘটনা কেবল পাকিস্তানেই ঘটে। অন্য কোনও দলে হয় না। নেতা হতে গেলে যে স্পার্ক দরকার, সেটা বাবরের মধ্য়ে নেই। অধিনায়কত্ব ছেড়ে ওর ব্যাটিংয়ে মন দেওয়া উচিত। আমি চার বার অধিনায়কের পদ ছেড়েছি। আমি জানি, অধিনায়কের উপর কতটা কাপ পড়ে।” হ্যারিসকে ওপেন করতে পাঠিয়ে বাবরের তিন নম্বরে নামার ব্যাপারে এক মত প্রাক্তন পাক ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনুসও। তাঁর মতে, “নতুন কিছুর জন্য ঝুঁকি নেওয়া উচিত। হ্যারিস অ্যাটাকিং শট খেলতে পারে। যা শুরুতেই দলকে এগিয়ে দিতে পারে।” একই কথা মনে করেন শোয়েব মালিকও।
পাশাপাশি ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যবহারের কথা উঠেছে। ওয়াকার ইউনিস এ ব্যাপারে বলেছেন, “পিচ যখন খুব শুকিয়ে যায়, তখন রিভার্স সুইং পাওয়া যায়। তার আগে পর্যন্ত বল কিন্তু লেন্থেই রাখতে হবে। আফ্রিদিকে এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে। ওর বয়স কম। ওকে গাইড করলে খুব ভালো কিছু করতে পারে। সেটা টিমের পক্ষেই যাবে।”