নয়াদিল্লি: সরগরম নয়াদিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। নানা কারণেই রোমাঞ্চকর হয়ে উঠল এই ম্যাচ। গত কয়েক দিন চিন্তা ছিল ধোঁয়াশা নিয়ে। ম্যাচের দু-দিন আগে অনুশীলনের পরিকল্পনা থাকলেও দিল্লির দূষণে বাতিল করতে হয়। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করলেও পুরো সময়টাই মাস্ক পরে ছিলেন। ম্যাচেও এর প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কাও ছিল। তবে ম্যাচে কোনও সমস্যা হয়নি। বরং রুদ্ধশ্বাস একটা লড়াই দেখা গেল। ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই প্রথম শ্রীলঙ্কাকে হারাল তারা। ভারতের পর বাংলাদেশের কাছে হার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন নিয়ে চাপে পড়ল শ্রীলঙ্কা। তেমনই আশার আলো বাংলাদেশ শিবির। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে ভারতের কাছে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সমরবিক্রমরা সেট হলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কা ইনিংসকে মূল ভরসা দেন চরিত আসালঙ্কা। উল্টোদিক থেকে উইকেট হারালেও সেঞ্চুরির অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ১০৫ বলে ১০৮ রানে ফেরেন আসালঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস টাইমড আউট হন। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম এমন ঘটনা ঘটে। শেষ অবধি ২৭৯ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়ায় বিধ্বংসী শুরুর চেষ্টা বাংলাদেশের। দ্রুতই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় তারা। আর এক ওপেনার লিটন দাসের ইনিংসও বড় হয়নি। অবশেষে হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তরুণ ব্যাটার নাজমুল হাসান শান্ত। নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে গত ম্যাচেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। এই ম্যাচে চারে নামেন ক্যাপ্টেন। সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ হয়। এ বারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি। সাকিব-শান্ত যোগ করেন ১৬৯ রান। যদিও দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২১০-২ থেকে দ্রুতই স্কোরলাইন ২৬৯-৭ হয়ে যায়। যদিও কোনও অঘটন ঘটেনি। ৫৩ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে জয় বাংলাদেশের।