মীরপুর: ২০০০ সাল অর্থাৎ ২৩ বছর আগে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ভারতীয় দল খেলছে ১৯৩২ সাল থেকে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যা করে দেখাল তেমন কীর্তি এশিয়ার অন্য কোনও টিম করে দেখাতে পারেনি। টেস্ট ফরম্যাটের ইতিহাসেও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ফরম্যাটের ইতিহাসে তৃতীয় সবচেয়ে বড় জয়। মীরপুরে টেস্ট জেতার জন্য আফগানিস্তানের (India vs Afghanistan) সামনে ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য রেখেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানরা। এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে ৫০০-র বেশি রানে টেস্ট জেতার নজির গড়ে ফেলল টাইগাররা। বাংলাদেশের সবথেকে বড় জয় তো বটেই একবিংশ শতাব্দীতে টেস্টে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রানে জেতার নজির। কেরিয়ারের সেরা ৩৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন জোরে বোলার তাসকিন আহমেদ। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশের হয়ে নাজমূল হোসেন শান্ত দুই ইনিংসে দুটি শতরান হাঁকান। তাঁর ১৪৬ ও ১২৪ রানের ইনিংস বাংলাদেশের এই বিশাল জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগর। বাজবলের ধাঁচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট চালিয়েছেন শান্ত। মোমিনুল হকের পর টেস্টের দুটি ইনিংসে শতরান হাঁকানো বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার শান্ত। শুক্রবার দিনের তৃতীয় ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে ফেরেন নাসির জামাল। রহমত শাহ উইকেটের এক প্রান্তে টিকে ছিলেন। শরিফুল ইসলাম ফেরান অফসর জাজাইকে (৬ রান)। তাসকিনের বাউন্সারে ক্যাপ্টেন হসমতুল্লা শাহিদি (১৩) রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান। শেষমেশ ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৮২ রান। জবাবে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৪৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটের বিনিময়ে ৪২৫ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৬২ রান!
২০০৫ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২২৬ রানের বড় ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। এরপর ২০২৩ সালে ৫৪৬ রানে জয়। টেস্টে সর্বাধিক রানে জয়ের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানে হারিয়েছিল ইংরেজরা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্য ওভালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৫৬২ রানে জয় হাসিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ রইল তালিকার তৃতীয়স্থানে।