Ross Taylor: কীভাবে ব্যাট করলে রান পাওয়া যাবে? রস টেলরকে ‘চিংড়ি’ পরামর্শ সেহওয়াগের

টেলরের বইয়ে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে নিয়ে কিছুটা লেখালেখি হয়েছে। সেখানে যদিও বিতর্কের লেশমাত্র নেই। বরং রয়েছে নিখাদ হাসির উপাদান।

Ross Taylor: কীভাবে ব্যাট করলে রান পাওয়া যাবে? রস টেলরকে 'চিংড়ি' পরামর্শ সেহওয়াগের
টেলরকে মজার পরামর্শ সেহওয়াগেরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 8:45 AM

নয়াদিল্লি: আত্মজীবনীতে ঝড় তুলে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার রস টেলর। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় তাঁর সঙ্গে হওয়া এক অনাকাঙ্খিত ঘটনার উল্লেখ করে চমকে দিয়েছেন রস। রান না পাওয়ায় রয়্যালসের মালিক তাঁকে চড় মেরেছেন, এই দাবি ঘিরে কয়েকদিন ধরে তোলপাড় ক্রিকেট বিশ্ব। এই দাবির পর টেলরের আত্মজীবনী ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’-ঘিরে আগ্রহ বেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। আত্মজীবনীতে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো আর কী কী উপাদান রয়েছে, জানতে আগ্রহী তাঁরা। টেলরের বইয়ে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে নিয়ে কিছুটা লেখালেখি হয়েছে। সেখানে যদিও বিতর্কের লেশমাত্র নেই। বরং রয়েছে নিখাদ হাসির উপাদান। ১০ বছর আগে সেহওয়াগের সঙ্গে টেলরের কথোপকথন জানতে পেরে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন ক্রিকেট ভক্তরা।

বীরেন্দ্র সেহওয়াগের রসবোধের আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে তিনি এরকমই। রস উল্লেখ করেছেন ২০১২ সালের ঘটনা। তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলার সময় মোটেও রান পাচ্ছিলেন না কিউয়ি তারকা। এদিকে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ছিলেন দারুণ ফর্মে। একদিন দলের সকলে মিলে দিল্লিতে সেহওয়াগের রেস্তরাঁয় খেতে যান। টেলর লিখেছেন, “দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলার সময় ফর্মে ছিলাম না। উল্টোদিকে সেহওয়াগ দারুণ ফর্মে ছিল। একদিন রাতে তাঁর রেস্তরাঁয় খেতে গেলাম। সেদিন ইপিএলের ম্যাচ চলছিল। রেস্তরাঁয় আমার সতীর্থরা ম্যাচ উপভোগ করছিলেন। ম্যাচে সের্গিও অ্যাগুয়েরো অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে ৪৪ বছর পর প্রিমিয়র লিগের খেতাব জেতান। সবাই ম্যাচ উপভোগ করলেও আমি এক কোনায় বসে নিবিষ্ট মনে চিংড়ি খেয়ে যাচ্ছিলাম।”

বড়সড় অঙ্কে কিউয়ি তারকাকে দলে নিয়েছিল দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ব্যাট হাতে তার মর্যাদা দিতে পারছিলেন না বলে স্বস্তি পাচ্ছিলেন না টেলর। আত্মজীবনীতে সে কথার উল্লেখ রয়েছে। পরদিন দিল্লির আরও একটা ম্যাচ। কিউয়ি ব্যাটারের নার্ভাসনেস দেখে এগিয়ে গিয়েছিলেন বীরু। পিঠ চাপড়ে বলেন, “এত চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেভাবে চিংড়ি খাচ্ছ, ব্যাটিংটা সেভাবেই করো!” দিল্লি বয়ের পরামর্শ টেলরের কাজে লেগেছিল কি না তা উল্লেখ করেননি। সেহওয়াগের ব্যাটিং পদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করেন টেলর।