কলকাতা : আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। হাতে আর মাত্র তিনমাস বাকি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই প্রথম বার এককভাবে ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। বিশ্বকাপ আয়োজনে কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছে না বিসিসিআই। দেশজুড়ে তাই সাজ সাজ রব। যে ১০টি স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলা হবে সেগুলি সংস্কারের কাজ চলছে জোর কদমে। প্রতিটি স্টেডিয়ামকে সংস্কারের জন্য টাকা দিয়েছে বোর্ড। যে স্টেডিয়ামের যা প্রয়োজন সেই হিসেবে কাজ চলছে। যেমন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নতুন ফ্লাডলাইট কর্পোরেট বক্সের প্রয়োজন, লখনউ স্টেডিয়ামে পিচ, ইডেন গার্ডেন্সে ড্রেসিংরুম আপগ্রেড, ধরমশালায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ঘাসের আউটফিল্ড, পুনে স্টেডিয়ামে অস্থায়ী ঘর এবং অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের টিকিটিং সিস্টেম এবং শৌচাগারের সংস্কার। বিস্তারিত তুলে ধরা হল TV9 Bangla Sports -র এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি খেলা হবে আমেদাবাদ, চেন্নাই, মুম্বই, ধরমশালা, দিল্লি, পুনে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, লখনউ এবং কলকাতায়। গুয়াহাটি ও তিরুবনন্তপুরমে খেলা হবে ওয়ার্ম আপ ম্যাচগুলি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আয়োজন করবে লিগ পর্বের চারটি ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল। স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট ছাড়া কর্পোরেট বক্স ও শৌচাগার সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। চেন্নাইয়ে দুটি লাল মাটির পিচ এবং নতুন এলইডি লাইট বসানো হবে। ধরমশালা স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ-সহ পাঁচটি ম্যাচ আয়োজন করবে ধরমশালা স্টেডিয়াম। ৬০০০ মিটারের নতুন ড্রেনেজ সিস্টেম বিশেষ করে পাইপ বসানো হয়েছে। যাতে বৃষ্টি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচ শুরু করার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা যায়।
বিশ্বকাপের আগে স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রতিটি স্টেডিয়ামকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা অরুণ ধুমাল বলেছেন, “আমরা কিছু আসন বদলেছি এবং স্ট্যান্ড পেইন্ট করেছি। লিকেজ সমস্যা ছিল সেটাই মিটিয়েছি। চেষ্টা করছি যাতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচ শুরু করা যায়।”