লক্ষ্য ছিল বাংলাকে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করে অবসর নেবেন। গত মরসুমের শুরুতেই এই ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন বাংলার কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। লক্ষ্য পূরণের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলা ক্রিকেট এবং কিংবদন্তির স্বপ্ন পূরণ হয়নি। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রর কাছে হার, রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তখনও অবশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও আভাস দেননি। কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি পোস্ট সকলকে চমকে দিয়েছিল। অবসর ঘোষণা করেছিলেন মনোজ তিওয়ারি। তবে সকলের ভালোবাসা ও বাংলা ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করলেন মনোজ। সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল, অবসরের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন মনোজ তিওয়ারি। সন্ধ্যায় সিএবি সভাপতি ও সচিবের পাশে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মনোজের অবসর প্রসঙ্গে জানতে পেরে, ওর এই সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড অবাক হয়েছিলাম। ওর সঙ্গে কথা বলি। ওকে বোঝাই, প্রায় দু-দশক বাংলার হয়ে খেলার পর, এ ভাবে অবসর নেওয়া ঠিক মানানসই নয়। ওর মতো একজন ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক মাঠ থেকেই অবসর নেবে। এ ভাবে নয়। বাংলা ক্রিকেটে ওর অবদান অতুলনীয়। সুতরাং, ওর নায়কের মতোই বিদায় সংবর্ধনা হওয়া উচিত।’
নতুন মরসুমের জন্য প্রত্যাশার বার্তা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্তটা হঠাৎই নিয়েছিলাম। সিদ্ধান্তটা হয়তো স্বার্থপরের মতোই ছিল। আমার এমন সিদ্ধান্তে পরিবারও অখুশি ছিল। সতীর্থ এবং সমর্থকরাও হতাশ হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘোষণার পর আমার স্ত্রীও অখুশি হয়েছিল। এরপর স্নেহাশিস দার সঙ্গে কথা হয়। তিনিই আমাকে বাংলার হয়ে আরও একটা মরসুম খেলার জন্য রাজি করান। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার তরফে যে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি, তা কোনও দিন ভোলার নয়। বাংলা ক্রিকেটের সমস্ত সমর্থক এবং আমার শুভাকাঙ্খীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য। নতুন মরসুমে সর্বস্ব দিয়ে বাংলা ক্রিকেটকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করব।’