
তিরুবন্তপুরম: বাংলা (Bengal) জিতল কিন্তু অন্য ম্যাচে তামিলনাড়ু হারতেই বিদায় সুদীপদের। কর্ণাটককে (Karnataka) ৪ উইকেটে হারিয়েও বিষাদের সুর বাংলার ড্রেসিংরুমে। এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে ভাগ্যই কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বাংলার। পুদুচেরির বিরুদ্ধে বৃষ্টি কাঁটায় ম্যাচ হারতে হয় অরুণ লালের ছেলেদের। আর কর্ণাটককে হারিয়েও নক আউটে পৌঁছতে পারলেন না সুদীপরা (Sudip Chatterjee)।
কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল বাংলার। মণীশ পাণ্ডেদের (Manish Pandey) হারালেই নক আউটে পৌঁছে যেতেন সুদীপ-অনুষ্টুপরা। কিন্তু অন্য ম্যাচে জিততে হত তামিলনাড়ুকেও। বরোদার বিরুদ্ধে ১১৫ রান তুলতে গিয়ে মাত্র ৭৩ রানে শেষ দীনেশ কার্তিক, বিজয় শঙ্কর, শাহরুখ খানদের তামিলনাড়ু। যা কল্পনাই করতে পারেননি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আহমেদ, অনুষ্টুপ মজুমদাররা। দুটো ম্যাচই শুরু হয় একসময়। তাই নিজেদের ম্যাচ খেলার সময়ই জানতে পারেন তামিলনাড়ুর ভরাডুবির কথা।
বাংলার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৫২ রান তোলে কর্ণাটক। ৯০ রান করেন অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে। ৪৮.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় বাংলা। ৬৩ রান করেন অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক দাস করেন ৫৮। ঋত্বিক রায়চৌধুরী আউট হন ৪৯ রানে।
৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, বাংলা আর পুদুচেরি। কিন্তু রান রেটের বিচারে প্রথম দুইয়ে তামিলনাড়ু (+১.০৫২) আর কর্ণাটক (+০.৭৮৯)। বাংলার নেট রান রেট (-০.২৩৫)। তামিলনাড়ু যদি বরোদাকে হারাত, সেক্ষেত্রে দীনেশ কার্তিকদের পয়েন্ট হত ১৬। তখন বাংলার আর কর্ণাটকের পয়েন্ট সমান হওয়ায় হেড টু হেডে নক আউটে পৌঁছে যেতেন সুদীপরা। কিন্তু চারটে দলের পয়েন্ট সমান হওয়াতেই রান রেটের বিচারে প্রথম ২ দল পৌঁছল নক আউটে। পুদুচেরি আজ মুম্বইকে হারানোয় তাদেরও পয়েন্ট দাঁড়ায় ১২। তাই তামিলনাড়ু অন্য ম্যাচে জিতলেও দেখা হত রান রেট। ভিজেডি নিয়মে তামিলনাড়ুকে ১ রানে আর বাংলাকে ৮ রানে হারায় পুদুচেরি। সেটাও ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল বাংলার কাছে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ভাগ্যের জন্যই আমাদের শহরে ফিরে আসতে হচ্ছে। তামিলনাড়ু যে ও ভাবে আজ হারবে ভাবতেই পারিনি। পুদুচেরিকে আগের ম্যাচেও যদি ওরা হারাতে পারত, তাহলেও আমাদের রাস্তা পরিষ্কার থাকত। কর্ণাটককে শুধু হারালেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যেতাম।’
বাংলার কোচ অরুণ লাল বলেন, ‘তামিলনাড়ুর ওই অবস্থা দেখে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ক্যালকুলেশন শুরু করি। তখন দেখি ২৩ ওভারের মধ্যে রান তাড়া করে জিততে হবে। আমাদের ব্যাটিংয়ে তখন ১১ ওভার হয়ে গিয়েছে। স্কোরবোর্ডে রান ৭০। বাকি ১২ ওভারে ম্যাচ বার করতে হলে চালিয়ে খেলতে হত। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্টুপ আর অভিষেকের উইকেট হারাই। তাই বাধ্য হয়ে ম্যাচ জয়ের রাস্তাকেই বেছে নিই। তামিলনাড়ু ছাড়া কারও কাছে আমরা পর্যুদস্ত হইনি। বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে পুদুচেরিকে হারিয়ে দিতাম। কপালই আমাদের সঙ্গ দিল না।’
কাল বিকেলেই শহরে ফিরছেন সুদীপ-অনুষ্টুপরা। মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি আর বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল বাংলাকে। এ বার সামনে রঞ্জি ট্রফি। ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসার চ্যালেঞ্জ বঙ্গব্রিগেডের সামনে।
আরও পড়ুন: PV Sindhu: জয় দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু সিন্ধু-লক্ষ্যর