AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengal vs Haryana: যুবরাজ সিং, রোহিত শর্মা ব্যর্থ! অঙ্কিতের সেঞ্চুরিতে শেষ আটেই বিদায় বাংলার

Vijay Hazare Trophy Quarter Finals: মরসুমের শুরু হয়েছিল সৈয়দ আলি ট্রফিতে হতাশার পারফরম্যান্সে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায়। যুজবেন্দ্র চাহালের ৪ উইকেট, অঙ্কিত কুমারের সেঞ্চুরিতে সেমিফাইনালে হরিয়ানা। বাংলা ইনিংসে টার্নিং পয়েন্ট বলা যায় অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ দিন সেট হয়েও যুজবেন্দ্র চাহালের বোলিংয়ে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে উইকেট উপহার দেন।

Bengal vs Haryana: যুবরাজ সিং, রোহিত শর্মা ব্যর্থ! অঙ্কিতের সেঞ্চুরিতে শেষ আটেই বিদায় বাংলার
Image Credit: BCCI Domestic
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2023 | 5:15 PM
Share

রাজকোট: আরও একটা টুর্নামেন্ট, কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় বাংলার। জন্মদিনে নিজেকে সেরা উপহার দিতে চেয়েছিলেন শাহবাজ আহমেদ। সেঞ্চুরির ইনিংসে নজর কাড়লেও। বল হাতেও অনবদ্য় পারফরম্যান্স। কিন্তু জয়ের স্বাদ পেলেন না। মরসুমের শুরু হয়েছিল সৈয়দ আলি ট্রফিতে হতাশার পারফরম্যান্সে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায়। যুজবেন্দ্র চাহালের ৪ উইকেট, অঙ্কিত কুমারের সেঞ্চুরিতে সেমিফাইনালে হরিয়ানা। ১৩ বছর পর বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিতে তারা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সব যেন হরিয়ানার পছন্দ মতোই হচ্ছিল। ম্যাচ শেষে সেটাই স্বীকার করে নেন হরিয়ানা অধিনায়ক অশোক মানেরিয়া। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হরিয়ানা। পিচে ঘাস ছিল। শুরুর দিকে আর্দ্রতার কারণে সিম বোলাররা সুবিধাও পাচ্ছিলেন। দারুণ ভাবে তা কাজে লাগায় হরিয়ানা বোলিং বিভাগ। বাংলা ব্যাটাররাও সেই লক্ষ্যে যেন সহযোগিতা করছিলেন। বাংলা ইনিংসে টার্নিং পয়েন্ট বলা যায় অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ দিন সেট হয়েও যুজবেন্দ্র চাহালের বোলিংয়ে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে উইকেট উপহার দেন।

শাহবাজ আহমেদ রুখে না দাঁড়ালে বাংলা আরও বড় লজ্জার সামনে পড়তে পারত। জন্মদিনে সেঞ্চুরির ইনিংস শাহবাজ আহমেদের। শেষ অবধি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৫ রানেই অলআউট বাংলা। প্রোটিয়া সফরে যাওয়ার আগে চার উইকেট চাহালের। বোর্ডে মাত্র ২২৫। বাংলার ভরসা ছিল বোলিং। পুরো টুর্নামেন্টে মূলত বোলারদের পারফরম্য়ান্সেই কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি পৌঁছেছিল বাংলা। প্রথম স্পেলে মহম্মদ কাইফ ফেরান যুবরাজ সিংকে (১)। অনবদ্য রিভিউতে হিমাংশু রানার উইকেট নেন ঈশান পোড়েল। এরপরই পরিকল্পনাহীন বাংলা। উইকেটের নেওয়ার চেয়ে ডট বলে বেশি জোর দেয়। এর পুরোপুরি সুযোগ নেয় হরিয়ানা।

অঙ্কিত কুমার ও অধিনায়ক অশোক মানেরিয়ার অনবদ্য জুটি বাংলাকে ম্য়াচ থেকে ছিটকে দেয়। অঙ্কিত একদিক আগলে সেঞ্চুরি করেন। উল্টোদিক থেকে ছোট ছোট অবদান অশোক মানেরিয়া (৩৯) ও নিশান্ত সিন্ধুর (২৭)। ব্যর্থ কিপার-ব্যাটার রোহিত শর্মা (৪)। শেষ অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯ বল বাকি থাকতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে হরিয়ানা। ম্যাচ শেষে বাংলা অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি বলেন, ‘আমরা অন্তত ৪০-৫০ রান পিছনে ছিলাম। শুরুতে উইকেট পড়ছিল। আমাদের পার্টনারশিপ গড়া প্রয়োজন ছিল। তেমনই রান ডিফেন্ড করার ক্ষেত্রে বল পুরনো হতেই, চাপ বাড়ে। আমাদের বোলাররা দারুণ চেষ্টা করেছে। ব্যাটিংয়ে সেট হয়ে লুজ শট খেলে আউট হয়েছে অনেকেই। সেটাও একটা কারণ। বোলারদের জন্যই আমরা এই অবধি পৌঁছেছিলাম। উইকেট নেওয়া ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না।’