
কলকাতা : চা-বিরতির পর দু-দলের ক্রিকেটাররাই মাঠে নামলেন। যদিও আলো কম থাকায় আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা হয়। ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। হঠাৎ আলো বাড়তে শুরু করে। এত দ্রুত সবটা হল ক্রিকেটাররা কার্যত তড়িঘড়ি মাঠে নামলেন। ইডেনে ‘পর্যাপ্ত আলো’ ফেরত এলেও বাংলা শিবিরে এল না। ক্রমশ অন্ধকার বাড়ল। প্রথম দিনই কার্যত ব্য়াকফুটে ছিল বাংলা। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব, এমনকী প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ায় সম্ভব বলে দাবি করেছিলেন মনোজ। কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছুই দেখা গেল না। এক দিন আগেই প্রথম সেশনে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলার ব্য়াটাররা। ক্রিজে টিকে থেকে বাংলার সঙ্গে ট্রফির দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছে সৌরাষ্ট্র। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ২ উইকেট নেয় বাংলা। এর মধ্যে রয়েছে নাইটওয়াচম্যান চেতন সাকারিয়ার উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ১ উইকেট। বাংলার জন্য় প্রথম সেশনেই ম্য়াচ কঠিন হয়। বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে নিয়ে কিছুদিন আগেও আলোচনায় উঠেছিল লিওনেল মেসির উদাহরণ। কাতার বিশ্বকাপ জিতে অবসর নেওয়ার কথা বলেছিলেন লিও মেসি। মনোজও এই মরসুমে ট্রফি জিতেই অবসর নিতে চেয়েছিলেন। মেসি পেরেছেন, মনোজের ক্ষেত্রে মঞ্চ তেমনই প্রস্তুত ছিল। ঘরের মাঠে ফাইনাল। ম্যাচের দু-দিন আগেও মনোজ দাবি করেছিলেন একপেশে ম্যাচ হবে। সেই একপেশে ম্যাচই হচ্ছে। তবে সেটা সৌরাষ্ট্রের পক্ষে। দ্বিতীয় দিনের শেষে সৌরাষ্ট্র ৩১৭-৫। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে ১৪৩ রানে। ম্যাচের এখনও তিন দিন বাকি।
প্রথম সেশনে চেতন সাকারিয়ার প্রতিরোধ। এরপর শেলডন জ্যাকসন এবং অর্পিত বাসাভড়ার জুটি। ক্রমশ ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে থাকে বাংলা। বহু কষ্টে শেলডনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙা গিয়েছিল। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। ১৩৩ বলে ১০১ রানের পার্টনারশিপ চিরাগ জানি-অর্পিত বাসভড়ার। দিনের শেষে এই জুটি ১১৩ রানে অবিচ্ছিন্ন। এখান থেকে বাংলার ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব। ভুললে চলবে না, অর্পিত সেমিফাইনালে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করে এসেছেন। ইডেনে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮১ রানে অপরাজিত অর্পিত। চিরাগ জানি রয়েছেন ৫৭ রানে। জোড়া সেঞ্চুরি হলে! তেমন দিকেই এগোচ্ছে পরিস্থিতি। তৃতীয় দিন মিরাকল হলে, আলাদা ব্যাপার।