CAB LEAGUE: মোহনবাগানকে হারিয়ে সিএবি লিগের ফাইনালে ভবানীপুর
সিএবি লিগের সেমিফাইনালেই বিদায় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের
কলকাতা: মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) হারিয়ে সিএবি লিগের ফাইনালে (Final) ভবানীপুর ক্লাব। অন্য সেমিফাইনালে রান রেটের নিরিখে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কালীঘাট ক্লাব। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে হতাশ করেছিলেন বাংলার বাঁ হাতি ওপেনার অভিষেক রামন। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই প্রথম ওভারে আউট হন রামন। ক্লাব ক্রিকেটে ফিরেই আত্মবিশ্বাসী ইনিংস ভবানীপুর ক্লাবের এই ওপেনারের। ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে মোহনবাগানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভবানীপুর। অলোক প্রতাপ সিংয়ের পাঁচ উইকেট এবং দুর্গেশ দুবের চার উইকেটের সৌজন্যে মোহনবাগান মাত্র ২৪৯ রানে অলআউট। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে। ভিজেডি পদ্ধতিতে মোহনবাগানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভবানীপুর। ওপেনার অভিষেক রামন ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
আব্দুল মোনায়েমের কোচিংয়ে গত পাঁচ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সিএবি লিগের ফাইনালে উঠল ভবানীপুর। ২০১৫-১৬ সালে প্রথমবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ২০১৮-১৯ সালের পর এই মরসুমে আরও একবার লিগ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার হাতছানি আব্দুল মোনায়েমের ভবানীপুরের সামনে। ফাইনালে ভবানীপুরের প্রতিপক্ষ কালীঘাট ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করে কালীঘাট ৪২৮-৬ স্কোর গড়ে। জবাবে ইস্টবেঙ্গল ১৫৪-৩ স্কোর করে। রানরেটের নিরিখে ফাইনাল নিশ্চিত কালীঘাটের।
বাংলার হয়ে সেমিফাইনালে অভিষেক রামন ব্যাটে রান না হতাশ ভবানীপুরের কোচ আব্দুল মোনায়েম। বলছেন, ‘আমাদেরও খারাপ লেগেছে। বাংলার হয়ে খেলাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসে প্রথম বলেই আউট হওয়া হতাশার। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রথম ওভারেই। তবে তারপরও বলব, অনেক বড় প্লেয়ারদের সঙ্গেও এমন হয়। ও যে ভালো প্লেয়ার সেটা বারবার প্রমাণ করে। আমাদের কাছে ভালো খবর, ও ফর্মে ফিরছে। ক্লাব ক্রিকেটে ফিরে শতরান করায় অনেকটা আত্মবিশ্বাস পাবে।‘