ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সেখানে ওপেনিং কম্বিনেশন কী হবে, এই নিয়ে চিন্তায় অজি ক্রিকেট বোর্ড। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি এ বার পাঁচ ম্যাচের। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর থেকেই ওপেনিং সমস্যায় অস্ট্রেলিয়া। মেকশিফ্ট ওপেনার হিসেবে দেখা হয়েছিল স্টিভ স্মিথকেও। তবে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। স্মিথকে পছন্দের পজিশনেই ব্যাটিং করানো হবে ভারতের বিরুদ্ধে। ওপেনারের খোঁজ শুরু করে দিল অস্ট্রেলিয়া। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে ভারত এ দলের সঙ্গে দু-ম্যাচের সিরিজ রয়েছে। তার স্কোয়াডও ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। মূল খোঁজ ওপেনারের।
ভারতের বিরুদ্ধে এ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে মার্কাস হ্যারিস ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে। টেস্ট ক্রিকেট খেললেও অভিজ্ঞতা খুবই কম মার্কাস হ্যারিসের। ভারতের বিরুদ্ধেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। যদিও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে, ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট কুখ্যাত স্যান্ডপেপার-গেটের মূল। অজি ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে নির্বাসিতও করেছিল। এরপর ক্রিকেটে ফিরলেও একই ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি। তাঁর অভিজ্ঞতাকে অবশ্য অস্বীকার করা যায় না। ব্যানক্রফ্ট এ-দলের হয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারলে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সুযোগ মিলতে পারে।
ভারত এ দলের বিরুদ্ধে স্কোয়াড ঘোষণা প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, ‘শেফিল্ড শিল্ডে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এই স্কোয়াড বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী সিরিজের কথা ভেবেই অস্ট্রেলিয়া এ দল বেছে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার পুরস্কারও। যারা স্কোয়াডে রয়েছে, তাদের কাছে দারুণ সুযোগ এখানে পারফর্ম করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। ৩১ বছরের এই ওপেনার শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৯ সালের অ্যাসেজ সিরিজে। অন্যদিকে, মার্কাস হ্যারিস ২০১৮ সালে ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক করেন। টেস্ট খেলেছেন ১৪টি। বছর দুয়েক আগে শেষ বার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লাল-বলের ক্রিকেটে খেলার সুযোগ হয়েছিল।