পাঁচ ম্যাচের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। ২২ নভেম্বর পারথে প্রথম টেস্ট। ভারতীয় টিম অস্ট্রেলিয়ার পৌঁছে অনুশীলনও করছে। ওয়াকায় যে মাঠে ভারতের অনুশীলন, কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো জায়গা। অস্ট্রেলিয়া মিডিয়া দাবি করেছিল, ভারতীয় দলের তরফেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলনের অনুরোধ করা হয়েছিল। সে কারণেই সমর্থকদের প্র্যাক্টিস দেখাও বারণ। এমনকি শুক্রবার থেকে রবিবার নিজেদের মধ্যে তিনদিনের প্র্যাক্টিস ম্যাচও খেলার কথা ভারতের। অস্ট্রেলিয়া সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, এই ম্যাচও দেখার অনুমতি নেই ক্রিকেট প্রেমীদের। যা নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। ভারতীয় শিবিরের তরফে অন্য দাবি।
বুধবার ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ পত্রিকা দাবি করেছিল, ওয়াকা গ্রাউন্ডের সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার শীর্ষকর্তা তাদের কর্মীদের মেইল করেছিলেন তাঁরা যেন প্র্যাক্টিস না দেখেন। এমনকি ছবি তোলা কিংবা ভারতের নেটের সময় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞার কথাও নাকি বলেছেন। অজি সংবাদপত্রের রিপোর্টে সেই মেইলের ভিত্তিতেই দাবি করা হয়েছিল, ‘ট্রেনিং সেশনের সময় ছবি, ভিডিয়ো, ড্রোন ওড়ানো, অনুশীলন দেখা সব বারণ।’ শুধু তাই নয়, ভারতের প্র্যাক্টিস ম্যাচের ক্ষেত্রেও এমন নিয়ম যেন মানা হয়, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, এক কর্তা তাদের উল্টোটাই বলেছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্তা বলেন, ‘ভারতীয় দল কিংবা ভারত এ দল এমন কোনও অনুরোধ করেনি। অন্তত সরকারি ভাবে রুদ্ধদ্বার অনুশীলনের কোনও বার্তা আসেনি। প্র্যাক্টিস সেশন সকলেই দেখতে পারে। এমনকি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া সংবাদমাধ্যম এটি কভারও করতে পারে। এখনও অবধি কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।’
তিন দিনের যে প্র্যাক্টিস ম্যাচ হবে তার জন্য ভারত এ দলও পারথে পৌঁছে গিয়েছে। যেহেতু এটি কোনও সরকারি ম্যাচ নয়, তাই নিয়মেও অনেক শিথিলতা রয়েছে। অনেক জনই ব্যাটিং করতে পারেন। কোনও ব্য়াটার আউট হলেই তাঁকে ক্রিজ ছাড়তে হবে তা নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে, মহম্মদ সিরাজ-আকাশ দীপদের বিরুদ্ধে সেন্টার পিচে বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাক বিরাটরা।