নয়াদিল্লি: গত শতাব্দীর সাত-আটের দশক ছিল বোলারদের রাজত্ব। মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নারদের মতো একের পর এক ক্যারিবিয়ান বোলারের উত্থান দেখে ক্রিকেট দুনিয়া। নয়ের দশক আবার ছিল ব্যাটারদের। সচিন তেন্ডুলকর থেকে শুরু করে ব্রায়ান লারারা দাপিয়েছেন বাইশ গজ। এখন সেটাই পাল্টে গিয়ে অলরাউন্ডারদের (All-rounder) যুগ। রবীন্দ্র জাডেজা, হার্দিক পান্ডিয়া, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্যাম কারানরা দাপাচ্ছেন মাঠ। আসলে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে আইপিএল। ব্যাট ও বল— দুই ভূমিকায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের কার্যকর ভূমিকা ম্যাচে বেশি। কোনও একটাতে ফ্লপ করলে অন্যটায় সফল হন তাঁরা। না হলেও গড়পড়তা পারফরম্যান্স ঠিক দিয়ে যান। এই তালিকায় মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ক্রিকেটারকেও রাখতে হবে। যিনি কিপার, ব্যাটার এবং নেতা। এমন অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব আরও বাড়বে সাদা বলের ক্রিকেটে, আরও ভালো করে বললে টি-টোয়েন্টিতে। আগামী প্রজন্ম যে কারণে অলরাউন্ডারই হতে চায়। আর কেউ নন, ভারতীয় টিমের এক প্রাক্তন তারকার দুই ছেলে অলরাউন্ডার হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন। বাবাও তাঁর ছেলেদের অলরাউন্ডার হওয়ার জন্য প্রেরণা দিচ্ছেন। কেন? আইপিএলের (IPL) কারণেই। কে এই তারকা? TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
এই শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারতীয় টিমের সাফল্যের পিছনে ছিলেন চার-পাঁচজন ক্রিকেটার। তাঁদের একজন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ওপেনার হিসেবে যিনি একের পর এক রেকর্ড করে গিয়েছেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্টে যাঁর ট্রিপল সেঞ্চুরিও রয়েছে। সেই বীরুর দুই ছেলে স্বপ্ন দেখছেন অলরাউন্ডার হওয়ার। সেওয়াগ নিজেই শুনিয়েছেন সেই গল্প। বড় ছেলে আর্যবীরের বয়স ১৫ বছর। ছোট ছেলে বেদান্তের বয়স ১২। এই দু’জনই স্পিনার অলরাউন্ডার। সেওয়াগ বলেছেন, ‘আমার বড় ছেলে আর্যবীর ওপেনিং ব্যাটার। সেই সঙ্গে লেগস্পিন করে। ছোট ছেলে বেদান্ত অফস্পিন করার পাশাপাশি ব্যাটিংও করে। দু’জনেই চায় অলরাউন্ডার হতে। কারণ, আইপিএলে অলরাউন্ডারদের দরই সবচেয়ে বেশি।’
বীরু ভারতীয় ক্রিকেটে ব্যাটার হিসেবে ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন। সব ধরনের ক্রিকেটে অত্যন্ত সফল ছিলেন তিনি। সেই তিনি চান না, তাঁর দুই ছেলের জন্য তদ্বির করতে। তাঁর কথায়, ‘আমি আমার দুই ছেলেকে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, এমন পরিস্থিতি যেন না আসে যে, ওদের খেলানোর জন্য আমাকে তদ্বির করতে হয়। তোমরা এমন খেলো, লোকে যেন বলে সেওয়াগের দুই ছেলে দারুণ খেলে।’