কলকাতা: সেই টোল ফেলা হাসি আছে। আছে চাপ কাটানো রসিকতাও। হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছেছেন। কিন্তু দেখলে মনে হবে, সবে তিরিশের উত্তাপে পা রেখেছেন। ইদানীং আর রুপোলি পর্দায় দেখা যায় না। বরং আইপিএলের মাঠেই সাবলীল আসা-যাওয়া। সাদা ব্লেজ়ারে মোহময়ী হেসে নিজের পরিকল্পনার কথা বলছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, যে ছক সাজিয়ে নেমেছিলেন নিলামে, পুরোপুরি সফল। এমনিতে কয়েক বছর একদম সাফল্য নেই। প্রতিবারই দারুণ শুরু করে হারিয়ে যায় পঞ্জাব কিংস। সেই টিমের মালকিন প্রীতি জিন্টা বলে দিচ্ছেন, যাঁদের নেবেন ঠিক করেছিলেন, তাঁদেরই নিতে পেরেছেন। আইপিএলের মিনি অকশনের পর কী বললেন প্রীতি?
আরসিবি হর্ষল প্যাটেলকে ছেড়ে দিয়েছিল। নিলামে নাম লেখাতেই তৈরি হয়েছিল পঞ্জাব। গত কয়েক বছরে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হর্ষল। আরসিবি, দিল্লি, আরসিবি ঘুরে এ বার নতুন টিমে গেলেন হর্ষল। অর্শদীপ সিংয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি। তুমুল লড়াই করে ১১.৭৫ কোটি টাকায় হর্ষলকে তুলে নেয় পঞ্জাব। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ভীষণ কার্যকর ৩৩ বছরের বোলারকে নিয়ে প্রীতি বলছেন, ‘হর্ষলকে যখন আরসিবি ছেড়ে দিয়েছিল, আমি ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। ওকে যাতে টিমে নেওয়া যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই ঝাঁপিয়েছিলাম। সফলও হয়েছি।’
নিলামে আসার আগে ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে এসেছেন মালকিন। কী ভাবনা ছিল? প্রীতির কথায়, ‘আমরা যাতে শেষ মুহূর্তে চাপ না নিই, সেই পরিকল্পনাই হয়েছিল। ক্যাপ্টেন ধাওয়ানের সঙ্গে নিলামে কী করা হবে, তা নিয়ে আগেই কথা হয়েছে। আমাদের যা পরিকল্পনা ছিল, এখনও অবধি সফল হয়েছে।।’ শুধু হর্ষল নন, ক্রিস ওকসকেও তুলে নিয়েছে পঞ্জাব। বোলিং বিভাগে গভীরতা দেওয়াই যে লক্ষ্য ছিল, তা মোটামুটি বোঝাই যাচ্ছে। প্রীতি কিন্তু আইপিএলে পজিটিভ দিক দেখতে পাচ্ছেন। বলছেন, ‘ভারতীয় প্লেয়াররা কিন্তু বিদেশিদের সঙ্গে লড়াই করে টিমে জায়গা করে নিচ্ছে। এটাই আইপিএলের সবচেয়ে বড় পজিটিভ দিক।’ সঙ্গে জুড়ে দিলেন, ‘ক্রিস ওকস আমাদের পরিকল্পনায় ছিল। ওকে পাওয়ায় ভালো হল।’