মুম্বই: কেরিয়ার শুরু হয়েছিল এখানেই। কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন সেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই। বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতিও টাটকা। সেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বসছে সচিন তেন্ডুলকরের মূর্তি। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার তরফে এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, সচিনের ৫০তম জন্মদিন কিংবা এ বছর ওডিআই বিশ্বকাপের সময় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সচিনের মূর্তি বসতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেটের রত্নকে বিশেষ সম্মান দিতে চলেছে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ১০ বছর হয়ে গেল। সচিন তেন্ডুলকরের জনপ্রিয়তা এক বিন্দুও কমেনি। হয়তো কোনওদিন কমবেও না। বিশ্ব ক্রিকেটে নানা রেকর্ড তাঁর দখলে। এর মধ্যে অন্য়তম ২০০টি টেস্ট খেলা। বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন। আর কেরিয়ারের এই মাইলফলক ম্যাচটি খেলেছেন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা আশাবাদী ২৩ এপ্রিল সচিনের ৫০তম জন্মদিনে এই স্ট্য়াচু বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। একান্তই না হলে, অক্টোবর-নভেম্বরে ওডিআই বিশ্বকাপের সময়। বিস্তারিত Tv9Bangla-য়।
মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি অমোল কালে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এটিই প্রথম স্ট্য়াচু হতে চলেছে। ঠিক কোন জায়গায় বসানো হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি। সচিন তেন্ডুলকর ভারতরত্ন। ক্রিকেটের জন্য় সচিন কী করেছে, সেটা সকলেরই জানা। ৫০ বছর পূর্ণ করতে চলেছেন সচিন। আমাদের তরফে এটা একটা ওকে সম্মান জানানোর ছোট্ট প্রয়াস। তিন সপ্তাহ আগেই সচিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল। ওর অনুমতি মিলেছে।’
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সচিনের নামে স্ট্য়ান্ড রয়েছে। এ ছাড়াও মুম্বইয়ের আর এক কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের নামে একটি কর্পোরেট বক্সও রয়েছে ওয়াংখেড়েতে। এ ছাড়াও প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা নির্বাচক প্রধান দিলীপ বেঙ্গসরকারের নামে স্ট্য়ান্ড রয়েছে। দেশের মধ্য়ে মাত্র তিনটি স্টেডিয়ামে এমন স্ট্যাচু রয়েছে। এ বার সচিনের স্ট্যাচু বসছে ওয়াংখেড়েতে। মাস্টার ব্লাস্টার নিজে বলছেন, ‘আমার কাছে দারুণ সারপ্রাইজ। আমার কেরিয়ার এখানে শুরু হয়েছিল। এই মাঠে অবিস্মরণীয় কিছু স্মৃতি রয়েছে। তার মধ্য়ে সেরা মুহূর্ত বলা যায়, এই মাঠেই আমরা ২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছি।’