ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দিয়েছিল আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো অতীত চ্যাম্পিয়ন দলকে তারা হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় চমক ছিল ইংল্যান্ডের মতো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নকে হারানো। যে ভাবে এগচ্ছিলেন আফগানরা, তাতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের সম্ভাবনাও ছিল। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই মঞ্চ প্রস্তুত। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯২ রানের টার্গেট দিয়েছিল আফগানিস্তান। দ্রুতই বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আফগানদের। মাত্র ৯১ রানের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট। সেখান থেকে ম্যাক্সওয়েলের মহাকাব্য।
বিশ্বকাপই শুধু নয়, ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের ফলে ক্র্যাম্পও হচ্ছিল। দৌড়নো দূর অস্ত, ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। শেষের দিকে কার্যত এক পায়ে ভর করে খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ৯১-৭ বিপর্যয় থেকে অস্ট্রেলিয়াকে টেনে তুলেছিলেন ম্যাক্সি। ২০১ রানের ম্যাচ জেতানো বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। যার ফলে আফগানিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মধুর বদলা নিয়েছে আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে।
আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন রশিদ খান মুম্বইয়ের সেই রাত ভোলেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রশিদ খান বলছেন, ‘এ বার একটু শান্তিতে ঘুমোতে পারব। তবে মুম্বইয়ের ওই রাতটা আমাকে ঘুমোতে দেয়নি। বারবার মাথায় ঘুরছিল ম্যাচটা।’ ২১টি বাউন্ডারি এবং ১০টি ছয় মেরেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। উল্টোদিকে প্যাট কামিন্স কার্যত ডামি ব্যাটারের ভূমিকায়। ৭ নভেম্বর, ২০২৩, বিশ্ব ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ম্যাক্সওয়েলের সেই ইনিংসে।
রশিদ খান আরও যোগ করলেন, ‘সেদিন পুরো রাত ঘুমোতে পারিনি। আর কেন জানি না মনে হচ্ছে, আনন্দের কারণে আজও ঘুম আসবে না। টিম কতটা খুশি, এর থেকেই পরিষ্কার।’ আফগানিস্তানের জয়ে সুপার এইটের গ্রুপ ১-এর চিত্রটাই পাল্টে গিয়েছে। ভারত অ্যাডভান্টেজ হলেও সেমিফাইনালে এখনও নিশ্চিত নয়। গ্রুপের চার দলের কাছেই দরজা খোলা সেমিফাইনালের।